অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সম্পর্কে আলোচনা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সম্পর্কে আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সম্পর্কে আলোচনা করো । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সম্পর্কে আলোচনা করো
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সম্পর্কে আলোচনা করো

অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সম্পর্কে আলোচনা করো

  • অথবা, অধীনতামূলক মিত্রতা সম্পর্কে ধারণা দাও। 
  • অথবা, অধীনতামূলক মিত্রতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।
  • অথবা, অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : ড. ভি.ডি. মহাজন বলেন, “ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি লর্ড ওয়েলেসলি ৩৭ বছর বয়সে বাংলাদেশের গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন। তিনি ছিলেন ভারতের অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ শাসক। 

তাঁর সাথে কেবলমাত্র লর্ড ক্লাইভ, ওয়ারেন হেস্টিংস এবং লর্ড ডালহৌসির তুলনা করা যেতে পারে । প্রকৃত কৃতিত্ব বিচারে তিনি ছিলেন সকলের উপরে।”

→ অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি : ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শক্তিকে সর্বাত্মক করে তুলতে লর্ড ওয়েলেসলি স্বাভাবিকভাবেই সাম্রাজ্যবাদী নীতি অবলম্বন করেন। 

তিনি পরস্পর বিদ্বেষী এ উপমহাদেশে নৃপতিগণকে লর্ড ক্লাইভ এবং ওয়ারেন হেস্টিংসের নীতির আলোকে ইংরেজ সামরিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল করে তোলার জন্য অধীনতামূলক মিত্রতা নামক একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেন।

→ অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির শর্তাবলি : ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির শর্তাবলি ছিল নিম্নরূপ :

১. যুদ্ধ ও সন্ধি নিষিদ্ধ : এ নীতি অনুসারে যে সকল ভারতীয় নৃপতি, অধীনতামূলক মিত্রতা নীতিতে আবদ্ধ হবেন তারা ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি ভিন্ন আর কোনো শক্তির সাথে যুদ্ধ ও সন্ধি করতে পারবে না।

২. ইংরেজদের প্রাধান্য : শক্তিশালী দেশীয় নৃপতিগণ স্বীয় রাজ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইংরেজ সৈন্য পোষণ করবেন এবং তাদের প্রধান হিসেবে একজন ইংরেজকে নিযুক্ত করবেন।

৩. ব্যয়ভার গ্রহণ : সৈন্যবাহিনীর ব্যয় নির্বাহের জন্য বড় রাজ্যগুলো তাদের রাজ্যের একাংশ ছাড়ার পরিবর্তে বাৎসরিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ করস্বরূপ প্রদান করবে।

৪. বিদেশি সৈন্যদের বিতাড়ন : মিত্রতায় আবদ্ধ সকল দেশীয় রাজ্য হতে একমাত্র ইংরেজ ছাড়া অপর সকল ইউরোপীয় কর্মচারী ও নাগরিকদেরকে বিতাড়িত করতে হবে।

→ ফলাফল : এ নীতির ফলে দেশীয় রাজন্যবর্গের স্বাধীনতা বিসর্জিত হয়ে তাদের সম্মান, প্রভাব, প্রতিপত্তি ক্ষুণ্ণ হয়ে যায়। এ সম্পর্কে ঐতিহাসিক মিল বলেন, দেশীয় রাজাদের শাসনামলে প্রজা নিপীড়ন সীমিত ছিল। 

কিন্তু বিদেশিদের হাতে তা চরমে পৌঁছে। টমাস মনরো বলেন, যখন এ নীতি প্রয়োগ করা হয় তখন এর ফলস্বরূপ গ্রামের সমৃদ্ধি বিনষ্ট হয় এমনকি গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়ে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসে ওয়েলেসলি একজন সার্থক সাম্রাজ্যবাদী ছিলেন। তার প্রণীত অধীনতামূলক নীতির ফলে ভারতীয় রাজন্যবর্গ ব্রিটিশ সামরিক শক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। 

লর্ড ক্লাইভ ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন, ওয়ারেন হেস্টিংস একে ধ্বংসের হাত হতে রক্ষা করেন এবং ওয়েলেসলির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ব্রিটিশ শাসন সুদৃঢ় হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সম্পর্কে আলোচনা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সম্পর্কে আলোচনা করো । যদি তোমাদের আজকের অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সম্পর্কে আলোচনা করো পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ