আইয়ুবী সুলতান ও কুসেডারদের মধ্যকার সংঘর্ষ সম্পর্কে যা জান লিখ

আইয়ুবী সুলতান ও কুসেডারদের মধ্যকার সংঘর্ষ সম্পর্কে যা জান লিখ
আইয়ুবী সুলতান ও কুসেডারদের মধ্যকার সংঘর্ষ সম্পর্কে যা জান লিখ


আইয়ুবী সুলতান ও কুসেডারদের মধ্যকার সংঘর্ষ সম্পর্কে যা জান লিখ

উত্তর: ভূমিকা : একাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপীয় খ্রিস্টান ও এশিয়া আফ্রিকার মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন সময় যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়, ইতিহাসে তা ধর্মযুদ্ধ নামে পরিচিত। 

ইসলামের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায় এটি মুসলমানদের প্রতি খ্রিস্টানদের যে বিদ্বেষ ছিল, এ যুদ্ধের মাধ্যমে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

আইয়ুবী সুলতান ও ক্রুসেডারদের মধ্যকার সংঘর্ষ : নিয়ে আইয়ূবী সুলতান ও ক্রুসেডারদের মধ্যকার সংঘর্ষের বিবরণ দেওয়া হলো : 

তৃতীয় ক্রুসেড : হিত্তিনের যুদ্ধে জেরুজালেম পতনের পর ইংল্যান্ডের রাজা রিচার্ড, জার্মানির রাজা ফ্রেডারিক বারবারোসা এবং ফ্রান্সের রাজা ফিলিপ অগাস্টান তৃতীয় ক্রুসেড ঘোষণা স্থলপথে একটি সিলিসিয়ান নদী ফেডাধিক অতিক্রমকালে মারা যান। 

রিচার্ড ও অগাস্টাস প্রাণপণ চেষ্টা করেও জেরুজালেম উদ্ধার করতে না পেরে ১২৯২ খ্রিস্টাব্দে সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর সাথে সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এর পরেই ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী মৃত্যুবরণ করেন।

চতুর্থ ক্রুসেড : সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী মারা যাওয়ার পর পোপ তৃতীয় সেলেস্টাইন ১১৯৫ সালে চতুর্থ ক্রুসেড ঘোষণা করেন। তিনি প্যালেন্টসহ ইউরোপে আন্দোলন চালান। 

তারা জলপথে এসে বৈরুত অবরোধ করেন। অবশেষে সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর ভাই মালেক আল আদিলের হাতে পরাজিত হন এবং একটি সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ হন।

ষষ্ঠ ফুসেড : ১২১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রায় দুই লক্ষ সৈন্যবাহিনী নিয়ে পোপ তৃতীয় ইনোসেন্ট ক্রুসেড ঘোষণা করেন। সৈন্যবাহিনী প্রথমে সিরিয়া যায়। পরে মিশর ও ডালমেটিয়া যায়। জেরুজালেম খ্রিস্টানদের অধীনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সপ্তম ক্রুসেড : ১২৩৮ খ্রিস্টাব্দে নবম গ্রেগরী সপ্তম ক্রুসেডের সূচনা করেন। ইতিমধ্যে মালিক-উল আনিলের বংশে দ্বন্দ্ব শুরু হলে তার পুত্র কামিল জার্মানির সম্রাটের কাছে জেরুজালেম হস্তান্তর করে তার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। 

খ্রিস্টানরা এবার প্যালেস্টাইন আক্রমণ করে বসল। কামিলের পুত্র ১২৩৯ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টানদের পরাজিত করে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেন।

অষ্টম ক্রুসেড : ১২৪৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের নবম লুইয়ের নেতৃত্বে অষ্টম ক্রুসেড সংঘটিত হয়। তার নেতৃত্বে খ্রিস্টানরা মিশর আক্রমণ করে কিন্তু আইয়ুবীর সুলতান তুরান শাহের নিকট পরাজিত হন।

মুসলমানগণ প্রকাশ্য আক্রমণের মাধ্যমে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে খ্রিস্টানদের হাত থেকে বিভিন্ন হারানো অঞ্চল উদ্ধার করে। সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর সাথে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, ক্রুসেডারদের সাথে আইয়ুবী বংশের সুলতানগণ তাদের শাসনামলে বিভিন্ন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। 

এ বংশের সুলতানদের দক্ষতা, কৌশল ও কার্যক্রমের মাধ্যমে মুসলমানরা ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে সফলতা পায়। ফলে ইসলামের বিজয় পতাকা আরও মজবুত হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ