আল কাহিরা সম্পর্কে আলোচনা কর । আল কাহিরা এর পরিচয় দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আল কাহিরা সম্পর্কে আলোচনা কর । আল-কাহিরা-এর পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আল কাহিরা সম্পর্কে আলোচনা কর । আল-কাহিরা-এর পরিচয় দাও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

আল কাহিরা সম্পর্কে আলোচনা কর । আল কাহিরা এর পরিচয় দাও
আল কাহিরা সম্পর্কে আলোচনা কর । আল কাহিরা এর পরিচয় দাও

আল কাহিরা সম্পর্কে আলোচনা কর । আল কাহিরা এর পরিচয় দাও

  • অথবা, আল-কাহিরা সম্পর্কে একটি টীকা লিখ । 

উত্তর : ভূমিকা : ফাতেমীয় খিলাফতের ৪র্থ খলিফা আল- মুইজের সেনাপতি জওহর আল সিকিল্লি মিশর বিজয়ের পর আল কাহিরা নামে একটি নতুন রাজধানী নির্মাণ করে। প্রাচীন এই আল-কাহিরাই বর্তমানে কায়রো নগরী তথা মিশরের রাজধানী।

→ আল-কাহিরা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস : আল কাহিরা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস নিম্নে দেওয়া হলো :

১. জওহরের মিশর অভিযান : খলিফা আল-মুইজের নির্দেশে সেনাপতি জওহর ৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কায়ারোয়ান থেকে মিসর অভিযানে বের হলো। সেনাপতি প্রথম আলেকজান্দ্রিয়া দখল করলে অত্যন্ত বিনীয় শর্তে নগরটি অধিকৃত হয়।

২. জওহরের ফুস্তাত দখল : জওহরের মিশর অভিযানে ইখশিদীদ শাসকদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় ফুস্তাত নগরীর উজির ইবনে আল ফুরাত তার আমিরকে জওহরের নিকট পাটিয়ে জনগণের নিরাপত্তা কামনা করেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ফুস্তাত নগরী দখলের আহ্বান জানান। কিন্তু এদিকে ইখশিদীওরা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলে জওহর বীরবিক্রমে ফুস্তাতে প্রবেশ করেন ।

৩. আল কাহিরা নগরী প্রতিষ্ঠা : জওহর ফুস্তাত নগরীতে ঢুকে উত্তর-পূর্ব কোনে তাবু স্থাপন করেন। ঐদিন সন্ধ্যার পরে তিনি ১২০০ গজ চৌকাণাকৃতি রেখায় একটি নতুন নগরীর ভিত্তি স্থাপন করেন। 

সে সময় গ্রহণ মাত্রের নামানুসারে এ নতুন নগরীর নামকরণ করা হয়। এ সময় Mars বা মঙ্গলগ্রহ উদিত হলে এর নামকরণ করা হয় মাদল নগরী, যা আরবিতে আল কাহিরা নামে পরিচিত। এটিকে আল কাহিরাকে আল-মাহরুসা নগরীও বলা হয় ।

৪. আল কাহিরার স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য : আল মাকরিযীর মতে, আল কাহিরা নগরীতে প্রবেশের জন্য ৮টি তোরন ছিল। বেষ্টনী প্রাচীরের মধ্যে খলিফার জন্য সর্ববৃহৎ প্রসাদ নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে ১০টি তোরন ছিল ।

এছাড়া এ নগরীতে আল-আজাহার মসজিদ সরকারি অফিস, সৈন্যদলের ব্যারাক এবং টাকশাল নির্মাণ করা হয়েছিল ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, আল কাহিরা জওহরের এক অনবদ্য সৃষ্টি এবং মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। ফাতেমীয় খলিফা আল মুইজের প্রধান সেনাপতি জওহর আল সিকিল্লি কূটনৈতিক কৌশল এবং স্থাপত্যশীলতার অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে মিশরের আল কাহিরা নগরী।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আল কাহিরা সম্পর্কে আলোচনা কর । আল-কাহিরা-এর পরিচয় দাও

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আল কাহিরা সম্পর্কে আলোচনা কর । আল-কাহিরা-এর পরিচয় দাও । যদি তোমাদের আজকের আল কাহিরা সম্পর্কে আলোচনা কর । আল-কাহিরা-এর পরিচয় দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ