ফাতেমীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ফাতেমীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ফাতেমীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

ফাতেমীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে আলোচনা কর
ফাতেমীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে আলোচনা কর

ফাতেমীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে আলোচনা কর

  • অথবা, ফাতেমীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে লিখ। 

উত্তর : ভূমিকা : একটি রাজ্য বা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নৌবাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম। ফাতেমীয় খলিফারা তাদের সাম্রাজ্যের নিরাপত্তায় নৌবাহিনী গঠন করেন। 

ইসলামের ইতিহাস পঠন-পাঠনে দেখা যায় ফাতেমীয় আমলের নৌবাহিনী ছিল অত্যন্ত চৌকস। এ নৌবাহিনীর কারণেই ফাতেমীয়রা ভূমধ্যসাগর, লোহিত সাগর ও নীলনদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়।

→ ফাতেমীয় নৌবাহিনী : ফাতেমীয়দের স্থল বাহিনীর সাথে সাথে, নৌবাহিনীর ভূমিকাও ছিল অপরিসীম। ফাতেমীয়দের মধ্যে খলিফা আল কাইম সর্বপ্রথম ভূমধ্যসাগরে আধিপত্য বিস্তারের জন্য নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। 

ভূমধ্যসাগরে ফাতেমীয় কর্তৃত্ব স্থাপনে নৌবাহিনীর সাফল্য ও কার্যক্রম ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খলিফা আল মুইজের অন্যতম কৃতিত্ব হলো মিশর জয় করা। 

তিনি তার দক্ষ সেনাপতি জওহরকে মরক্কো অভিযানে প্রেরণ করেন। জওহর মরক্কো দখল করতে সক্ষম হন। 

তাছাড়া বাণিজ্য সম্প্রসারণে ফাতেমীয় জাহাজগুলো এবং নৌবন্দরগুলো ও বণিকদের সহায়ক ছিল— সিরিয়া, বন্দর আলোকজান্দ্রিয়া, ভূমধ্যসাগর এবং লোহিত সাগর ও নীলনদে ফাতেমীয়দের আধিপত্য সামরিক ও বেসামরিক উভয় দিক দিয়ে অপ্রতিরোধ্য ছিল।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, একটি সাম্রাজ্যের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও সুদৃঢ়ীকরণে নৌবাহিনীর ভূমিকা অত্যাধিক। এজন্য ফাতেমীয় খলিফাগণ সিংহাসনে বসেই ভূমধ্যসাগরে আধিপত্য বিস্তারের জন্য একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠন করেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফাতেমীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফাতেমীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের ফাতেমীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ