বক্সারের যুদ্ধের কারণ গুলি লেখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বক্সারের যুদ্ধের কারণ গুলি লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বক্সারের যুদ্ধের কারণ গুলি লেখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.

বক্সারের যুদ্ধের কারণ গুলি লেখ
বক্সারের যুদ্ধের কারণ গুলি লেখ

বক্সারের যুদ্ধের কারণ গুলি লেখ

  • অথবা, বক্সারের যুদ্ধের কারণগুলো আলোচনা কর। 

উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাটদের উদাসীনতা, অদূরদর্শিতা এবং সুষ্ঠু বাণিজ্য নীতি না থাকায় ইংরেজরা এদেশে বাণিজ্য করার অনুমতিসহ রাজনৈতিক সুবিধা লাভ করে। 

তারা বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে পলাশির যুদ্ধে পরাজিত করে বাংলার কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। এরপর মীর কাসিমের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে এবং এর চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে ১৭৬৪ সালে। ঐতিহাসিক বক্সারের যুদ্ধে।

বক্সারের যুদ্ধের কারণ : নিম্নে বক্সারের যুদ্ধের কারণ তুলে ধরা হলো :

১. চুক্তির বিপরীত : মীর জাফরের অযোগ্যতা অকর্মণ্যতা অক্ষমতায় বিরক্ত হয়ে তাকে অপসারণ করে মীর কাসিমকে নবাব করার গোপন সিদ্ধান্ত হয়। 

সে সন্ধিতে বলা হয় মীর জাফর নামেমাত্র নবাব থাকবে এবং মীর কাসিম নায়েবে সুবাদার হবেন। শাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে তার পূর্ণ কর্তৃত্ব থাকবে। 

কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা গেল তার বিপরীত। ফলে মীর কাসিম ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়।

২. ফরমানের অবমাননা : ১৬৫৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চুক্তি অনুযায়ী সুবে বাংলা সরকারকে বাৎসরিক ৩ হাজার টাকা বাণিজ্য শুল্ক দিতে হবে। 

কিন্তু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে এ দস্তকের অপব্যবহার করে। ফলে মীর কাসিম দেশীয় বণিকদেরকে শুল্ক ছাড়া বাণিজ্য করার অধিকার দেয়। এতে ইংরেজরা চরম রেগে যায়।

৩. ব্যক্তিগত অপমান : কতিপয় প্রত্যক্ষ প্রমাণে দেখা যায় যে, মীর কাসিম বাংলার স্বাধীন নবাব তো নয়ই; বরং তিনি ইংরেজ ও ক্ষমতাশালী হিন্দু জমিদারদের অপমানের পাত্র হন। 

ইংরেজ সিপাহসালার কর্নেল স্টু যত্রতত্র নবাবকে অপমানিত করতেন, ফলে ইংরেজদের সাথে তার সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে।

৪. প্রজাদের উপর অত্যাচার : নবাবের উপর ব্যক্তিগত অপমান ছাড়াও কোম্পানির কর্মচারীরা বাংলার জনগণের উপর নানা অত্যাচার ও উৎপীড়ন করত। 

তারা কোনো পণ্য কিনলে দেশীয় লোকেরা অনেক সময় মূল্যও পেত না। ফলে মীর কাসিম যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়।

৫. ষড়যন্ত্রকারীদের গৃহবন্দি : সিংহাসনে আরোহণের পর মীর কাসিম ষড়যন্ত্রকারীদের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের মুঙ্গেরে বন্দি করেন। এ দমননীতি ইংরেজদের স্বার্থের পরিপন্থি হওয়ায় নবাব মীর কাসিমের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মীর কাসিমের সাথে ইংরেজদের বক্সারের যুদ্ধের পিছনে নানা কারণ বিদ্যমান ছিল। 

কোনো একক কারণে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। মীর কাসিম মূলত বাংলার জনগণের পক্ষে ছিলেন বলে ইংরেজরা এ যুদ্ধের জন্য উঠেপড়ে লাগেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বক্সারের যুদ্ধের কারণ গুলি লেখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বক্সারের যুদ্ধের কারণ গুলি লেখ । যদি তোমাদের আজকের বক্সারের যুদ্ধের কারণ গুলি লেখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ