ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরোধের কারণ আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরোধের কারণ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরোধের কারণ আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরোধের কারণ আলোচনা কর
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরোধের কারণ আলোচনা কর

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরোধের কারণ আলোচনা কর

  • অথবা, নবাব সিরাজ ও কোম্পানির মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণ বর্ণনা কর।
  • অথবা, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও সিরাজ-উদ- দৌলার মধ্যে বিরোধের কারণ বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : ভূমিকা : মাতামহের মৃত্যুর পর সিরাজ-উদ-দৌলা ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ এপ্রিল বাংলার নবাব পদে অভিষিক্ত হন। এসময় সিরাজের বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। তিনি ছিলেন তেজস্বী ও স্বাধীনচেতা যুবক। 

তবে বাংলার মসনদ তার জন্য ফুলশয্যা ছিল না। সিংহাসনে আরোহণের পর পরই তরুণ নবাব চারদিকে শত্রু পরিবেষ্টিত হয়ে পড়েন। সিংহাসনে আরোহণের অল্পদিনের মধ্যেই ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। 

কেননা বাণিজ্যিক কোম্পানি হিসেবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অভিষিক্ত হলেও অচিরেই তাদের আশা- আকাঙ্ক্ষার পরিবর্তন ঘটে, তারা বাংলার শাসনক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে থাকেন। ফলে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ- দৌলার সাথে ইংরেজদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে নবাবের বিরোধের কারণ : ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ভারতবর্ষের সাথে বাণিজ্য করাই তাদের উদ্দেশ্য হওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যের পাশাপাশি শাসনক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার ফলে নবাবের সাথে বিরোধের সূত্রপাত হয়। 

নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :

১. নবাবের প্রতি অনুগত্যের অভাব : ১৭৫৬ সালে সিরাজ- উদ-দৌলা যখন বাংলার নবাব হন তখন মুঘল ভারতের প্রচলিত প্রথা অনুসারে ফরাসি, ডাচ কোম্পানি এবং বাংলার জমিদাররা নতুন নবাবকে উপহার-উপঢৌকন দিয়ে অভিনন্দন জ্ঞাপন করে। 

কিন্তু কলকাতায় অবস্থানরত ইংরেজ কর্তৃপক্ষ নবাবের প্রতি কোনো ধরনের উপহার উপঢৌকন পাঠানো থেকে বিরত রাখে। যা ছিল স্বাধীন নবাবের প্রতি চরম মর্যাদা হানিকর। 

ইংরেতাদের এরূপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে স্বভাবতই নবাব ক্রুদ্ধ হন এবং ইংরেজদের উপযুক্ত শিক্ষা দানের বিষয়ে বদ্ধপরিকর হন। ফলশ্রুতিতে বাংলার নবাবের সাথে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরোধের সৃষ্টি হয়।

২. রাজনৈতিক কারণ : নবাব আলীবর্নী থান ইউরোপীয় বণিকদেরকে তার রাজ্যে দুর্গ নির্মাণ করতে অনুমতি দেননি। আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পর ইউরোপে সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধের আশঙ্কায় নবাবের বিনা অনুমতিতে ইংরেজরা ও ফরাসিরা চন্দননগরে দুর্গ নির্মাণ করতে শুরু করে। 

নবাব অবিলম্বে ইংরেজ ও ফরাসিদের দুর্গ নির্মাণ বন্ধ করবার এবং নির্মিত অংশ ভেঙ্গে ফেলবার নির্দেশ দেন। 

ফরাসিরা নবাবের আদেশ মানলেও কলকাতায় ইংরেজ কর্তৃপক্ষ নবাবের আদেশ অমান্য করেন এবং ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নতুনভাবে নির্মাণ করে আরো দুর্ভেদ্য করে তোলে। এই পরিস্থিতিতে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা তাদের উপর ক্রুদ্ধ হন।

৩. অর্থনৈতিক কারণ : মুঘল সম্রাট ফররুখশিয়ার ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে এক ফরমান দ্বারা ইংরেজ কোম্পানিকে বিনা তত্ত্বে সমগ্র ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্য করবার অধিকার প্রদান করেন। 

বিगा শুল্কে আমদানি-রপ্তানির সুবিধার জন্য কোম্পানিকে যে ছাড়পত্র দেওয়া হয় তা 'দস্তক' নামে পরিচিত। বিনাশুল্কে সমগ্র ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্য করার বিনিময়ে কোম্পানি মুঘল সরকারকে বার্ষিক তিনহাজার টাকা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। 

কিন্তু কোম্পানির কর্মচারীরা শীঘ্রই দন্তকের অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। মুর্শিদকুলি খান ইংরেজদের ফরমান লাভের মধ্যে অশুভ সংকেত লক্ষ করে এর বিরোধিতা করেন। 

শেষ পর্যন্ত মুর্শিদকুলী খানের সঙ্গে ইংরেজদের একটা সমঝোতা হয় এবং স্থির হয় যে, কোম্পানি তার রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য শুল্ক ছাড়পত্র বা সপ্তক ভোগ করলেও কোম্পানির কর্মচারীরা ব্যক্তিগত বাণিজ্যের জন্য দস্তক ব্যবহার করবে না। 

কিন্তু সিরাজ ক্ষমতাসীন হয়ে লক্ষ করেন যে, কোম্পানির কর্মচারীরা বোঝাপড়ার শর্ত অমান্য করে ব্যক্তিগত ব্যবসা করছে এবং নবাবকে কর ফাঁকি দিচ্ছে। 

এর ফলে নবাবের রাজকোষের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। নবাব ইংরেজ গভর্নর ডেক্রকে দস্তকের অপব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু ড্রেক তা অগ্রাহ্য করেন। এর ফলে নবাব ইংরেজদের প্রতি ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হন।

৪. ইংরেজ কর্তৃক কৃষ্ণদাসকে আশ্রয় দান : ১৭৫৫ খ্রিষ্টাব্দে শওকত জঙ্গ মৃত্যুবরণ করলে সিরাজ-উদ-দৌলা রাজবল্লভকে ঢাকা প্রশাসনের হিসাব দাখিল করতে বলেন। আলীবর্দীর মৃত্যুর আগেই রাজবল্লভের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়। 

রাজা রাজবল্লভ তখন মুর্শিদাবাদে ছিলেন, তাকে বন্দি করা হয় এবং হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু আলীবর্দী খান মৃত্যুশয্যা থেকে তাকে রক্ষা করেন এবং বলেন হিসাব পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজবল্লভের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখা হোক। 

সিরাজ তার অনুচরদের ঢাকায় পাঠান এবং নির্দেশ দেন রাজবস্তুভের ধন-সম্পদ যেন বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং তার পরিবার পরিজনদের আটক করা হয়। 

রাজবল্লভের গোপন নির্দেশে তার পুত্র কৃষ্ণদাস তখন পরিবার পরিজন ও আনুমানিক ৫৩ লক্ষ টাকার ধন-সম্পদসহ কলকাতায় ইংরেজদের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করে। 

আলীবর্দী খানের মৃত্যুর মাসখানেক পূর্বে ১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মার্চ কৃষ্ণদাস কলকাতায় পৌঁছান। সিরাজ কৃষ্ণদাসকে সমর্পণ দাবি করলে ইংরেজগণ তা অমান্য করে। 

নবাবের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করে নবাবের একজন অপরাধী প্রজাকে কলকাতায় আশ্রয়দানের একটি প্রকৃষ্ট নমুনা কৃষ্ণদাসের ঘটনা। 

বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দানের পিছনে ইংরেজদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল এবং সিরাজ-উদ-দৌলা সিংহাসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায়সঙ্গতভাবেই কৃষ্ণদাসকে তার হাতে অপর্ণের দাবি জানিয়েছিলেন। 

উইলিয়াম ওয়াটসনই গভর্নর ড্রেকের কাছে কৃষ্ণদাসকে কলকাতায় আশ্রয়দানের সুপারিশ করেন। ড্রেকেরও ধারণা ছিল চক্রান্তকারী ঘষেটি বেগমের দল, যার অন্যতম সদস্য কৃষ্ণদাসের পিতা রাজবল্লভ, মসনদ দখলের লড়াইয়ে নিশ্চিত সফল হবে। 

সুতরাং নবাবের অপরাধী কৃষ্ণলাসকে অন্যায়ভাবে আশ্রয়দানের যে অভিযোগ সিরাজ-উদ-দৌলা ইংরেজদের বিরুদ্ধাচরণ করেন তা খুবই সঙ্গত ছিল। ফলে ঘটনা উভয় পক্ষের মধ্যকার বিরোধকে আরো তীব্র করে তোলে।

৫. ইংরেজ কর্তৃক ঘষেটি বেগমের ষড়যন্ত্রে সমর্থন : নবাব আলীবর্দী খান তার প্রিয় দৌহিত্র সিরাজের জন্য মসনদের সাথে অনেক সমস্যাও রেখে যান। তার নিজের পরিবারেই ছিল অনৈক্য।

তাদের মধ্যে সিরাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। সিরাজ মসনদে আরোহণ করেই এসব সমস্যার সম্মুখীন হন এবং দেখতে পান চারদিকে চক্রান্তকারীদের জাল পাতা রয়েছে। 

এরূপ একজন চক্রান্তকারী ছিলেন তার খালা ঘসেটি বেগম। ঘষেটি বেগম ছিলেন অপুত্রক। সিরাজের ছোট ভাই ইকরামউদ্দৌলাকে তিনি লালন-পালন করেন। 

তার ইচ্ছা ছিল নবাব আলীবর্দীর মৃত্যুর পর ইকরামউদ্দৌলাকে মসনদে বসাবেন। কিন্তু আলীবর্দীর মৃত্যুর পূর্বেই ১৭৫৪ খ্রিষ্টাব্দে বসন্তরোগে ইররামউদ্দৌলার মৃত্যু হয়। 

ঘষেটি বেগম নিঃসন্তান হয়েও রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং সিরাজের অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়ে শওকত, জঙ্গের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন। 

আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পর সিরাজ সংবাদ পান যে, ইংরেজগণ আলীবর্ণীর মৃত্যুর পর ঘষেটি বেগমকে সিরাজের বিরুদ্ধে সাহায্য দানে প্রতিশ্রুত হয়েছে। এ ঘটনায় সিরাজ ইংরেজদের প্রতি আরো সন্দিহান হয়ে পড়ে।

৬. ইংরেজ কর্তৃক শওকত ভাঙ্গের পক্ষাবলম্বন : সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যেও সিরাজের শত্রুর অভাব ছিল না। তার প্রধান শত্রু ছিল তারই খালাতো ভাই পূর্ণিয়ার শাসক শওকত জঙ্গ। 

সিরাজ মসনদে আরোহণের পর শওকত জঙ্গ পাঠাননি। এতে পরিষ্কার বুঝা যায় যে অনুগত ছিলেন না। শওকত জঙ্গ নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন এবং নবাবের সিংহাসনচ্যুতি কামনা করতে থাকলে ইংরেজরা তার প্রতিপক্ষ হিসেবে শওকত জঙ্গকে সমর্থন করতে থাকে। ফলে নবাব ইংরেজদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন।

শওকত জঙ্গ সিরাজের

৭. অন্ধকূপ হত্যার ঘটনা : এ ঘটনায় ইংরেজ কর্তৃপক্ষ ও নবাবের মধ্যকার সম্পর্ক আরো তিক্ত করে তোলে। ইংরেজদের একের পর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, অবাধ্যতা নবাবকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। 

তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য ১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে নবাব কলকাতা দখল করে নেন। যাত্রাপথে তিনি কাশিমবাজার কুঠিও দখল করেন। 

নবাবের অতর্কিত আক্রমণ ইংরেজরা ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। হলওয়েলসহ বেশকিছু ইংরেজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। 

বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে নবাবকে হেয় করার জন্য হলওয়েল এক মিথ্যা কাহিনির প্রচারণা চালায়, যা ইতিহাসে অন্ধকূপ হত্যা নামে পরিচিত। 

এতে বলা হয় ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য, ১৪.১০ ফুট গ্রন্থ ছোট একটি ঘরে ১৪৬ জন ইংরেজকে বন্দি করে রাখা হয়। এতে প্রচণ্ড গরমে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ১২৩ জনের মৃত্যু হয়। এই মিথ্যা প্রচার মাদ্রাজ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ফলে ইংরেজদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

৮. ইংরেজ কর্তৃক কলকাতা পুনর্দখল : নবাব কর্তৃক কলকাতা জয়ের খবর মাদ্রাজে পৌঁছালে রবার্ট ক্লাইভ ও নৌ সেনাপতি ওয়াটসন কলকাতা রওয়ানা হন। ১৭৫৭ সালের জানুয়ারি মাসে ক্লাইভ আবার খুব সহজে কলকাতা পুনর্দখল করে ফেলেন। 

নবাব তাদের দমন করার জন্য আবার সৈন্য পাঠান। কিন্তু নবাব দেখতে পেলেন চারিদিকে শুধু ষড়যন্ত্র। তাই তিনি সন্ধির প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু এ সন্ধি ছিল শুধু নামমাত্র। সম্পর্কের কোনো উন্নয়ন এতে হয়নি।

৯. ক্লাইভের ষড়যন্ত্র : আলীনগরের সন্ধিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পর ক্লাইভের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আরো বৃদ্ধি পায়। নবাবের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইউরোপে সংঘটিত সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধের অজুহাতে ইংরেজরা ফরাসিদের চন্দননগর কুঠি দখল করে নেয়। 

নবাব এ অবস্থায় ফরাসিদের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন, করে ইংরেজদের শায়েস্তা করার ব্যবস্থা নেন। এতে ক্লাইভ ক্ষুব্ধ হয়ে নবারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। 

এই ষড়যন্ত্রে ক্লাইভের সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যবসায়ী ধনকুবের জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ, রাজা রাজবল্লভ, সেনাপতি মীর জাফর প্রমুখ। 

ফলে নবাবের সাথে ইংরেজদের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটে এবং এ দু'পক্ষের মধ্যকার বিরোধ অবশেষে যুদ্ধে রূপলাভ করে।

উপসংহার : আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সাথে ইংরেজদের বিরোধের জন্য ইংরেজদের দূরদর্শিতা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষাই দায়ী ছিল। 

তবে সমকালীন সময়ে নবাব তথা বাংলার শাসনক্ষেত্রে যে দুর্বলতা বিরাজমান ছিল এটা ইংরেজদের জন্য অনেকটা সহায়ক হয়েছিল। 

এধরনের অবস্থানলগ্নে ইংরেজরা নিজ শক্তিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার সকল আয়োজন পাকাপোক্ত করে। ফলে নবাবের সাথে তাদের চূড়ান্ত বিরোধ দেখা দেয়। 

যার ফলশ্রুতিতে বাংলার ইতিহাসে সমাধি রচিত হয় এক ঐতিহ্যময় অধ্যায়ের এবং যাত্রা সূচিত হয় নতুন অধ্যায়ের।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরোধের কারণ আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরোধের কারণ আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিরোধের কারণ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ