ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রচারণা সম্পর্কে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রচারণা সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রচারণা সম্পর্কে আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রচারণা সম্পর্কে আলোচনা কর
ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রচারণা সম্পর্কে আলোচনা কর

ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রচারণা সম্পর্কে আলোচনা কর

  • অথবা, ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রচারণা সম্পর্কে লিখ। 

উত্তর : ভূমিকা : ফাতেমীয় শাসন ইতিহাসে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তিনি ৯০৯ সালে মিশরে ফাতেমীয় খিলাফাত প্রতিষ্ঠা করেন। ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার পর তিনি একে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করেন।

→ ফাতেমীয়দের প্রচারণা : নিচে উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয়দের প্রচারণা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :

১. আব্দুল্লাহ বিন মায়মুনের সাংগঠনিক কার্যাবলি : আব্দুল্লাহ বিন মায়মুন একজন দক্ষ সাংগঠনিক ছিলেন। তিনি ফাতেমীয় মতবাদগুলো সুবিন্যস্ত করে জনগণের নিকট তা প্রচার করতেন। তিনি উত্তর সিরিয়ায় বসবাস করতেন। মূলত সেখান থেকেই তিনি প্রচারকার্য সম্পাদন করতেন ।

২. প্রচারক প্রেরণ : খলিফা ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী ফাতেমীয় মতবাদ প্রচার করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল প্রচারক প্রেরণ। সাতটি স্তরে সদস্য সংগ্রহ করা হতো। 

কর্মীদের যোগ্যতা বিচারের ক্ষেত্রেও কঠোরতা ও গোপনীয়তা অনুসরণ করা হতো। তিউনিশিয়া এবং মিশরে ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠায় তাদের এই পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

৩. হুলওয়ানী এবং সুফিয়ানকে ইফ্রিকিয়ায় প্রেরণ : হুলওয়ানী ও আবু সুফিয়ান নামক দু'জন দাঈকে ইফ্রিকিয়ায় প্রেরণ করা হয়। এই দু'জন প্রচারক আব্বাসীয় বিরোধী কাতামা গোত্রের উপর গুরত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

৪. আবু আব্দুল্লাহ-এর সাংগঠনিক তৎপরতা : আবু আব্দুল্লাহ ইয়েমেনে বসবাসরত দাই ইবনে হাউশাবের শিক্ষা গ্রহণ করেন। ইবনে হাউশার তার দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ইফ্রিকিয়ায় প্রেরণ করেন।

তিনি ইফ্রিকিয়ায় এসে গোপনে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে থাকেন এবং ফাতেমীয় গোত্রকে আরবীয়দের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তোলেন।

৫.আহম্মদের সাংগঠনিক কার্যাবলি : আহম্মদ ছিলেন ফাতেমীয় মতবাদ প্রচারের একজন সদস্য। তার পিতা মায়মুনের মৃত্যুর পর তিনি প্রচার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ফাতেমীয় মতবাদ প্রচারে তার অবদান ছিল অপরিসীম।

৬. ফাতেমীয় খিলাফতের সূচনা : ওবায়দুল্লাহ আল-মাহদী ৯০৯ সালে উত্তর আফ্রিকার ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন। ফাতেমীয় খিলাফত প্রচারণা কার্যে আবদুল্লাহ বিন মায়মুন | আবদুল্লাহ আশ শীঈ যথেষ্ট অবদান রাখেন ।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, ৯০৯ সালে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী যে ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন, তার প্রচার কার্যের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ফাতেমীয় মতবাদ প্রচারের জন্য বিভিন্ন স্থানে প্রচারক প্রেরণ করা হতো। যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রচারণা সম্পর্কে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রচারণা সম্পর্কে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রচারণা সম্পর্কে আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ