ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠায় দাঈ এর ভূমিকা কি ছিল

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠায় দাঈ এর ভূমিকা কি ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠায় দাঈ এর ভূমিকা কি ছিল । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠায় দাঈ এর ভূমিকা কি ছিল
ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠায় দাঈ এর ভূমিকা কি ছিল

ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠায় দাঈ এর ভূমিকা কি ছিল

উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের ইতিহাসে ফাতেমীয় খিলাফতের আবির্ভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী ৯০৯ সালে আঘলাবীয় বংশের ধ্বংসস্তূপের উপর উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন। ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠার পিছনে দাঈ বা প্রচারকের ভূমিকা ছিল অপরিসীম

→ ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠায় দাঈ-এর ভূমিকা : যেকোনো রাজবংশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জনসমর্থন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জনসমর্থন ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করা খুবই কঠিন।

আর এ সমর্থন আদায়ে দাঈ-এর ভূমিকা অত্যধিক। উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আর এক্ষেত্রে দাঈ বা প্রচারকের অবদান ছিল উল্লেখ করার মতো।

ফাতেমীয় মতবাদের প্রধান প্রচারক ছিলেন | আব্দুল্লাহ বিন মায়মুন। দাঈ হিসেবে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। মুহাম্মদ বিন ইসমাইলের সমর্থক ছিলেন আব্দুল্লাহ বিন মায়মুন আল কান্দাহ। 

আব্দুল্লাহ বিন মায়মুন অনেক দিন জীবিত ছিলেন। তিনি ইমাম মুহাম্মদের পরবর্তী তিনজন ইমামকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন। 

আব্দুল্লাহ বিন মায়মুন কর্তৃক প্রচারিত ইসমাইলীয় মতবাদ উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

তিনি ৮৭৪ সালে মৃত্যুবরণ করার পরেই ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা পায় । আব্দুল্লাহ বিন মায়মুন বহু গ্রন্থের লেখক ছিলেন। 

আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর তার সুযোগ্য প্রতিনিধি আবু আব্দুল্লাহ আশ শীঈ ইসমাইলীয় মতবাদ প্রচারে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ফাতেমীয় মতবাদ প্রচারক ইবনে হাউশাবের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।

প্রকৃতপক্ষে আব্দুল্লাহ আশ শীঈ- এর ইবনে হাউশাবের শিষ্যত্ব গ্রহণ করা ছিল ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। 

অবশেষে সকল দাঈ বা প্রচারক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার ফলে উত্তর আফ্রিকার ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছিল।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠায় দাঈ বা প্রচারকের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। ধারণা করা হয় দাঈ বা প্রচারক ছাড়া ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা সম্ভব ছিল না। 

তাই বলা যায় ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠায় দাঈ-এর ভূমিকা অপরিসীম ছিল এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠায় দাঈ এর ভূমিকা কি ছিল

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠায় দাঈ এর ভূমিকা কি ছিল । যদি তোমাদের আজকের ফাতেমীয় বংশ প্রতিষ্ঠায় দাঈ এর ভূমিকা কি ছিল পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ