ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল
ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল

ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল

  • অথবা, ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি কী রূপ ছিল?

উত্তর : ভূমিকা : মুসলিম জাহানের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা.)-এর মৃত্যুর পর তার পুত্র হোসাইন (রা.)-কে খলিফা হিসেবে মনোনীত করা হয়। 

কিন্তু মুয়াবিয়া হোসাইনকে খিলাফতের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। হুসাইন (রা.)- কে খিলাফত থেকে বঞ্চিত করার কারণে তার অনুসারীরা বিদ্রোহ শুরু করে এদের একটি শাখা যা আফ্রিকায় ফাতেমীয় আন্দোলন শুরু করে। 

এই আন্দোলন ছিল ধর্মের মোড়কে মোড়া একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। পরবর্তীতে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটি বংশের প্রতিষ্ঠিত হয়।

→ ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি : ইমাম মুয়াবিয়া উমাইয়া খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন। ইমাম হাসানের সাথে খিলাফত নিয়ে মুয়াবিয়ার এক চুক্তি হয়। 

এই চুক্তিতে ইমাম হাসানের ছোট ভাই ইমাম হোসাইনকে খিলাফত দেওয়ার কথা বলা হয় কিন্তু মুয়াবিয়া ইমাম হাসানের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে। 

ইমাম হোসাইনকে খিলাফতের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজ পুত্র ইয়াজিদকে খিলাফতের জন্য মনোনীত করে। এই ঘটনায় উমাইয়াদের উপর হযরত আলী (রা.) ও ইমাম হোসাইনের সমর্থকগণ খুব রেগে যায় । 

ফলে কালক্রমে তাদের বিদ্রোহ একটি রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ নেয়। তারা সুনিয়ন্ত্রিতভাবে দুর্বল আব্বাসীয় খলিফাদের বিরুদ্ধে একটি বংশ প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, খিলাফতের প্রকৃত দাবিদার ইমাম হোসাইন (রা.)-কে বঞ্চিত করার কারণে শিয়া মতাদর্শীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। 

তাদের একটি গ্রুপ খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন শুরু করে। এর ফলে ৯০৯ সালে ওবাইদুল্লাহ আল মাহদী কর্তৃক তার বিশিষ্ট অনুচরদের সহায়তায় ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল। যদি তোমাদের আজকের ফাতেমীয় আন্দোলনের প্রকৃতি কী ছিল পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ