জ্ঞান বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদানসমূহ আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো জ্ঞান বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদানসমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের জ্ঞান বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদানসমূহ আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

জ্ঞান বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদানসমূহ আলোচনা কর
জ্ঞান বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদানসমূহ আলোচনা কর

জ্ঞান বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদানসমূহ আলোচনা কর

  • অথবা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদানগুলো বর্ণনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : ফাতেমীয় খলিফারা ছিল জ্ঞান বিজ্ঞানের উদার পৃষ্ঠপোষক। মিশরে ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠার পর যে সকল খলিফা এসেছিলেন তারা প্রায় সকলেই শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহী ছিল এবং সংস্কৃতিমনা ছিল। 

তাদের উজিরগণও পিছিয়ে ছিল না। ফাতেমীয় শাসনামলের জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষা দীক্ষার উন্নতির মাইলফলক ছিল দারুল হিকমা। 

দারুল হিকমার অবদান ছিল তৎকালীন সময়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির পিছনে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির পিছনে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল ফাতেমীয় খলিফারা ।

জ্ঞান-বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের কৃতিত্ব : জ্ঞান-বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের কৃতিত্বসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো :

১. ধর্ম ও আইন : ফাতেমীয়দের মিশর জয়ের পর খলিফাদের শাসনামলে কাজী আল নোমান এবং তার পুত্র ও পৌত্ররা ধর্ম ও আইন বিভাগের সর্বোচ্চ পদ অলংকৃত করেন। 

খলিফাগণ তাদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দান করেন। কবি ও ঐতিহাসিক হিসেবেও তাদের খ্যাতি ছিল। ফাতেমীয় খিলাফত আরবি সাহিত্যেও অসামান্য অবদান রাখেন।

২. সাহিত্যচর্চা : ফাতেমীয় শাসনামলে কাজী হারুন-অর-রশিদ ও ইবনুজ জোবায়ের কবি ও পণ্ডিত হিসেবে বেশ খ্যাতি ছিল। ইবনে সাল্লামের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল। সাহিত্য চর্চায় ফাতেমীয় খলিফাদের অনুপ্রেরণা ছিল।

৩. চিকিৎসাবিদ্যা : চিকিৎসাবিদ্যালয় ফাতেমীয়দের খুব খ্যাতি ছিল। উল্লেখ্য যে খলিফা আল মুইজ চিকিৎসাবিদ্যা ও বিজ্ঞান চর্চায় বিশেষ উৎসাহ দেন। 

তিনি ইহুদি চিকিৎসক মুসা বিন আল সাজ্জানকে ও তার দুই পুত্রসহ চাকরিতে নিয়োগ দেন। এছাড়া ফাতেমীয় শাসনামলে খ্যাতিমান চিকিৎসক হচ্ছেন আলেকজান্দ্রিয়ার সায়দ বিন বাচিক ।

৪. স্থাপত্য ও শিল্প : স্থাপত্য ও বিভিন্ন ধরনের শিল্প যার মধ্যে কারুশিল্পে তাদের বিশেষ অবদান রয়েছে। রাজধানী কায়রোতে বিপুল সংখ্যক স্থাপত্যের নিদর্শন ছিল। 

এই শাসনামলে কারুশিল্পে বিশেষ উন্নতি সাধিত হয়। রেশমি কাপড়, পশমি কাপড়, বুটিদার ও অন্যান্য বস্ত্র ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কারুশিল্প ।

৫. গণিত ও দর্শন : ফাতেমীয় খলিফাদের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতায় গণিত ও দর্শনশাস্ত্রের অভূতপূর্ব সফলতা অর্জিত হয়। ইবনুল হায়মাস ছিল ফাতেমীয় শাসনামলের প্রখ্যাত দার্শনিক ও গণিতজ্ঞ। তিনি বসরা থেকে মিশরে গমন করেন এবং কতিপয় পুস্তকও রচনা করেন ।

উপসংহার : সর্বোপরি উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদান ছিল অপরিসীম। তাদের কৃতিত্ব অতুলনীয়। 

খলিফাদের উদার পৃষ্ঠপোষকতা ও উৎসাহের কারণে মিশরে জ্ঞান-বিজ্ঞানে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়। আর এই সভ্যতার অগ্রগতির অন্যতম নিদর্শন হলো দারুল হিকমা। 

এছাড়া সভ্যতার প্রতীক হিসেবে এ সময়ে স্থাপত্য শিল্পেরও যথেষ্ট বিকাশ লাভ করেছিল। তাই বলা যায় যে, মিশরে সভ্যতার অগ্রগতির পিছনে ফাতেমীয় খলিফাদের অবদান অনস্বীকার্য।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ জ্ঞান বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদানসমূহ আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম জ্ঞান বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদানসমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের জ্ঞান বিজ্ঞানে ফাতেমীয়দের অবদানসমূহ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ