মগধের উত্থান সম্পর্কে লেখ । গৌড় মগধের উত্থানের উপর সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ

মগধের উত্থান সম্পর্কে লেখ । গৌড় মগধের উত্থানের উপর সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ
মগধের উত্থান সম্পর্কে লেখ । গৌড় মগধের উত্থানের উপর সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ

মগধের উত্থান সম্পর্কে লেখ । গৌড় মগধের উত্থানের উপর সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ

উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে শশাঙ্ক এক আলোচনা সৃষ্টিকারী নাম। বাংলার দিগন্তে তাঁর উদয় হয়েছিল ধূমকেতুর মতো। তিনি নিজ দক্ষতার মাধ্যমে সমস্ত বাংলায় তার শাসনব্যবস্থা চালু করেছিলেন। 

ফলে তিনি এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলা সর্বপ্রথম কাব্য উপাখ্যানের বিষয় এর বদলে গুরুত্বপূর্ণ স্থান বলে বিবেচিত হয়।

গৌড় মগধের উত্থান: গুপ্ত সম্রাজ্যের পতনের পর ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে পরবর্তী গুপ্তবংশের শাসকরা বাংলার উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও মগধে ক্ষমতা বিস্তার করে। ৬ষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এ অঞ্চলই গৌড় জনপদ নামে সুপরিচিত ছিল ।

শশাঙ্কের গৌড় অধিকার : পরবর্তী গুপ্ত বংশের রাজারা ৭ম শতকের শুরুতে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। এসময় শশাঙ্ক পরবর্তী গুপ্তবংশের রাজা মহাসেন গুপ্তকে পরাজিত করে গৌড় অধিকার করেন। 

তবে শশাঙ্কের গৌড় অধিকার করার সম্পর্কে তেমন সঠিক ইতিহাস জানা যায় না। গৌড় অধিকারের পর শশাঙ্ক তাঁর রাজধানী হিসেবে কর্নসুবর্ণকে বেছে নেয়। 

কর্ণসুবর্ণের বর্তমান অবস্থান হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের ছয় মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত রাঙ্গামাটি অঞ্চল। এভাবে পরবর্তী গুপ্তবংশের শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটে মগধ ও বঙ্গে। 

আর শশাঙ্ক সে সুযোগে গৌড়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাজ্যের উত্থান ঘটান। এটি বাংলার উত্তর-পশ্চিমাবংশে মগধে বিস্তৃত ছিল।

উপসংহার : আলোচনার পরিশেষে একথা বলা যায় যে, সম্রাট শশাঙ্ক নিজ দক্ষতার কারণে স্বাধীন গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত তিনি এখানকার অধীশ্বর হয়েছিলেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ