পরবর্তী গুপ্ত বংশের সংক্ষেপে পরিচয় দাও
পরবর্তী গুপ্ত বংশের সংক্ষেপে পরিচয় দাও |
পরবর্তী গুপ্ত বংশের সংক্ষেপে পরিচয় দাও
- অথবা, পরবর্তী গুপ্ত বংশের পরিচয় দাও ৷
উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীন বাংলা রাজনৈতিক ইতিহাসে গুপ্ত বংশের শাসনকাল একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
গুপ্ত বংশের শাসনামলের পর অপর একটি গুপ্ত বংশ মগধে কিছুকাল শাসন পরিচালনা করেন । ইতিহাসে এর পরবর্তী গুপ্ত বংশ নামে পরিচিত।
পরবর্তী গুপ্ত বংশ : পরবর্তী গুপ্ত বংশের সম্পর্কে জানার জন্য তথ্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাদের উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিকভাবে তেমন কিছু জানা যায়নি । তবে যেটুকু জানা যায় তা হলো :
ড. আর. সি মজুমদারের, মতে এ রাজবংশ ছিল স্বতন্ত্র এবং প্রাচীন গুপ্ত বংশের সাথে এ বংশের কোনো রক্তের সম্পর্ক ছিল না ।
অন্যান ঐতিহাসিকদের, মতে অনেক পণ্ডিত এমত স্বীকার করেন না। পরবর্তী গুপ্ত বংশ সাম্রাজ্যবাদী গুপ্ত বংশের সাথে সম্পর্ক যুক্ত ছিল বলে তারা মনে করেন।
পুরুগুপ্তের বংশধররাই পরবর্তী গুপ্ত বংশের নামে পরিচিত। সাম্রাজ্যবাদী গুপ্ত বংশ শেষ দিকে মগধ অঞ্চলে রাজত্ব করতো এবং পরবর্তী গুপ্তবংশও গোড়ার দিকে মগধ অঞ্চলে রাজত্ব করতো।
সুতরাং পরবর্তী গুপ্তবংশ হয় প্রধান গুপ্তবংশের সামন্ত বা প্রধান গুপ্তবংশের রক্তসম্পর্কিত বলে মনে করা হয়।
→ পরবর্তী গুপ্তবংশের শাসকসমূহ : পরবর্তী গুপ্তবংশের শাসক অর্থাৎ প্রথম স্বাধীন রাজার নাম ছিল কৃষ্ণগুপ্ত। তারপর হর্ষগুপ্ত ও জীবিতগুপ্ত রাজত্ব করেন।
পরবর্তী গুপ্তবংশের শাসক সংখ্যা : হর্ষশিলালিপি থেকে ১১ জন পরবর্তী গুপ্ত রাজার নাম পাওয়া যায়। চালুক্য শিলালিপি থেকে আরও তিনজন গুপ্ত রাজার নাম পাওয়া যায় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ঐতিহ্যবাহী গুপ্ত বংশের অপর ধারাবাহিকতায় সামান্য সময়ের জন্য শাসনকাল চালাতে সক্ষম হয়েছিলেন পরবর্তী গুপ্তবংশের শাসকেরা।
গৌড়াধিপতি শশাঙ্ক ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে পরবর্তী গুপ্তবংশের শাসকদের পরাজিত করে মগধে ও গৌড়ে স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং সাথে সাথে পরবর্তী গুপ্তবংশের শাসনের অবসান হয় ।