সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর কৃতিত্ব তোমার নিজের ভাষায় লিখ

সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর কৃতিত্ব তোমার নিজের ভাষায় লিখ
সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর কৃতিত্ব তোমার নিজের ভাষায় লিখ

সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর কৃতিত্ব তোমার নিজের ভাষায় লিখ

  • অথবা, সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর কৃতিত্ব তোমার নিজের ভাষায় লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : আইয়ুবী বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ূবী ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। 

দ্বাদশ শতাব্দীতে বিভিন্ন অভিযান প্রেরণ করে তিনি ক্রুসেডারদের পরাজিত করেন। মুসলমানদের গৌরব ফিরিয়ে আনতে সক্ষম 

→ সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর পরিচয় : সালাউদ্দিন আইনী ১১৩৮ খ্রিস্টাব্দে টাইগ্রিস নদীর তীরে অবস্থিত তিকরিত নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার মূলনাম সালাউদ্দিন ইউসুফ। 

তার পিতার নাম ছিল নাজিমুদ্দিন আইয়ুব। সালাউদ্দিন একজন কুর্দি ছিলেন। ১১৬৯ সালাউদ্দিন আইয়ুবী মিশরের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। 

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ফাতেমীয় খলিফা আল আদিপ মৃত্যুবরণ করলে আইয়ুবী বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। ১১৭১ খ্রিস্টাব্দে নুরুদ্দিন মৃত্যুবরণ করলে সালাহউদ্দিন নিজেকে স্বাধীন সুলতান হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়ার দামেস্কে মৃত্যুবরণ করেন।

সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর কৃতিত্ব : সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর কৃতিত্ব নিয়ে আলোচনা করা হলো :

১. হিভিনের যুদ্ধ : সালাহউদ্দিন আইয়ুবী সামরিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে ৩ জুলাই শুক্রবার হিত্তিনের যুদ্ধে সালাহউদ্দিন ক্রুসেডারদের শোচনীভাবে পরাজিত করেন।

২. জনহিতকর কর্যক্রম ; সুলতান সালাহউদ্দিন সাম্রাজ্যের অনেক জনহিতকর কার্যাবলি সম্পাদন করেন। তিনি রাজ্যের সর্বত্র রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ নির্মাণ করে জনসাধারণের প্রীতি ও শ্রদ্ধা লাভ করেন। কৃষিক্ষেত্রেও তার অবদান অনস্বীকার্য। 

৩. তৃতীয় ক্রুসেড ও তাঁর কৃতিত্ব : জেরুজালেম পতনের পর ইংল্যান্ডের রাজা রিচার্জ, জার্মানির রাজা ফ্রেডারিক বারবারোসা এবং ফ্রান্সের রাজা ফিলিপ অগাষ্টান তৃতীয় ক্রুসেড পরচালনা করেন।

ফ্রেডারিক একটি সিলিসিয়ান নদীতে ডুবে মারা যান। রিচার্ড ও অগাস্টাস প্রাণপণ চেষ্টা করেও যোরুজালেম উদ্ধার করতে পারেনি। 

পরে দুঃখে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর সাথে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হন।

৪. আকসা মসজিদে আযান : সালাহউদ্দিন হিত্তিদের যুদ্ধের পর জেরুজালেম পুনরুদ্ধারে দৃঢ় সংকল্প হন। এক সপ্তাহ পর্যন্ত জেরুজালেম অবরুদ্ধ রাখেন। 

অবশেষে ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দের ২ অক্টোবর ক্রুসেডাররা আত্মসমর্পণ করেন এবং আকসা মসজিনে পুনরার আযানের ধ্বনি শোনা যায় ।

৫. বীর যোদ্ধা : সালাহউদ্দিন ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেন। শ্রেষ্ঠবীরের মর্যাদা লাভ করায় তাকে গাজী উপাধি দেওয়া হয়।

৬. স্থাপত্য শিল্পের পৃষ্ঠপোষক : সুলতান গাজী সালাহউদ্দিন আইয়ুবী স্থাপত্য শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তিনি অসংখ্য মাদ্রাসা, এতিমখানা, সুসজ্জিত, মসজিদ নির্মাণ করেন এবং এগুলোকে নানাভাবে সুসজ্জিত করে তোলেন ৷

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী সুশৃংখল, প্রজাবৎসল শাসননীতি, মহানুভবতা, মানবতা, উদারতা, ভালোবাসা, বন্ধুতা, বদান্যতার জন্য ইতিহাসের পাতার অমর হয়ে আছেন। ইসলামের গৌরব ফিরিয়ে আনতে তার অন্য অবদান অনস্বীকার্য ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ