বিজয় সেন সম্পর্কে জানার ঐতিহাসিক উৎসগুলো সম্পর্কে লিখ

বিজয় সেন সম্পর্কে জানার ঐতিহাসিক উৎসগুলো সম্পর্কে লিখ
বিজয় সেন সম্পর্কে জানার ঐতিহাসিক উৎসগুলো সম্পর্কে লিখ

বিজয় সেন সম্পর্কে জানার ঐতিহাসিক উৎসগুলো সম্পর্কে লিখ

  • অথবা, বিজয় সেন সম্পর্কে ঐতিহাসিক উৎসগুলোর উল্লেখ কর।

উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশের ইতিহাসে বিজয় সেনের নাম অবিস্মরণীয়। সেন বংশের মধ্যে তিনিই ছিলেন সর্বপ্রথম স্বাধীন ও শক্তিশালী রাজা। তিনি তার রাজত্বকালে সেন বংশের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। 

বিজয় সেন ছিলেন হেমন্ত সেনের পুত্র। সেন রাজবংশ সম্পর্কে বিক্রমপুর তাম্রপট ও দেওপাড়া লিপি থেকে অনেক কিছু জানা যায়। তিনি খুব সম্ভব ১০৯৮ থেকে ১১৫৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজত্ব করেন ।

→ বিজয় সেন সম্পর্কে প্রাপ্ত ঐতিহাসিক তথ্য : বিজয় সেনের ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে পাওয়া যায় না। যেসব উৎস থেকে বিজয় সেন সম্পর্কে জানা যায় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

রামচরিতের বিবরণ ও কবি উমাপতিধরের প্রণীত দেওপাড়া প্রশস্তির ঊনবিংশ শ্লোক থেকে জানা যায় যে, বিজয় সেন পালরাজ রামপালকে বরেন্দ্র উদ্ধারে সাহায্যে করেছিলেন।

ব্যারাকপুর তাম্রশাসন পর্যালোচনায় জানা যায়, তিনি শূরবংশীয় রাজকন্যা বিলাসদেবীকে বিবাহ করেছিলেন। বল্লালচরিতে। বিজয় সেনকে 'শেড়দাঙ্গাসন' আখ্যায়িত করা হয়েছে। 

বিজয় সেনের একটি তাম্রশাসনে দেখা যায়, তার মহীষী বিলাসদেবী বঙ্গের রাজধানী বিক্রমপুরে মহাধূমধাম সহকারে তুলা পুরুষ মহাদান নামে একটি খণ্ডের অনুষ্ঠান করেছিলেন।

বিজয় সেন যাগযাত্রার অনুষ্ঠান করেছিলেন, যা উমাপতি ধরের দেওপাড়া প্রশস্তিতে পাওয়া যায়। এছাড়া দেওপাড়া প্রশস্তিতে তার দানের খ্যাতি সম্পর্কে জানা যায়। 

বিজয় সেনের কীর্তির কাহিনি সম্পর্কে কবি শ্রীহর্ষের রক্ষিত একটি প্রশস্তি থেকেও জানা যায়। এছাড়া তার সময়ে আবিষ্কৃত একটি 'শিলালিপি' এবং 'গৌড়ৌবিশকুল প্রশস্তি' থেকেও বিবিধ তথ্য পাওয়া যায় ৷

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বিজয় সেন সম্পর্কে প্রাপ্ত উপরিউক্ত উৎসগুলো থেকে জানা যায় যে, বিজয় সেন একজন অসামান্য প্রতিভাবান রাজা ছিলেন। তিনি তার ৬২ বছরের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলাদেশকে এক অখণ্ডরাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ