চন্দ্রবংশের ক্ষমতা লাভ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর

চন্দ্রবংশের ক্ষমতা লাভ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর
চন্দ্রবংশের ক্ষমতা লাভ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর

চন্দ্রবংশের ক্ষমতা লাভ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর

  • অথবা, চন্দ্রবংশের উত্থান সম্পর্কে আলোচনা কর। 
  • অথবা, চন্দ্রবংশ কিভাবে ক্ষমতায় এসেছিল?

উত্তর : ভূমিকা : স্বাধীন সার্বভৌম চন্দ্রবংশ নবম দশম খ্রিষ্টাব্দে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার সমতট এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। 

এ রাজবংশের যোগ্য, দক্ষ, প্রজ্ঞাবান শাসকদের জন্য চন্দ্রবংশ দীর্ঘদিন আপন মহিমায় প্রজ্জ্বলিত হয়ে তাদের শাসনকার্য পরিচালনা করে কৃতিত্বের সাথে। 

চন্দ্রবংশের শাসন ক্ষমতা গ্রহণ সম্পর্কে যতটুকু ধারণা পাওয়া যায় তা পর্যাপ্ত নয়। তার পরও চন্দ্রবংশের উত্থান সম্পর্কে এসব ধারণা গুরুত্বপূর্ণ ।

→ চন্দ্রবংশের ক্ষমতা লাভ : চন্দ্রবংশের প্রাপ্ত তাম্রশাসন থেকে চন্দ্রবংশের ক্ষমতা লাভ সম্পর্কে জানা যায়। চন্দ্রবংশের রাজারা কোনো সময় থেকে রাজত্ব শুরু করেন কিভাবে তারা ক্ষমতায় আসে এসব তথ্য আজও জানা যায় নি। 

ত্রৈলোক্য চন্দ্ৰ ৯০০-৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত, শ্রী চন্দ্ৰ ৯৩০-৯৭৫, কল্যাণ চন্দ্র ৯৭৫-১০০০ এবং লডহচন্দ্র ১০০০-১০২০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দক্ষিণ- পূর্ব বাংলার চন্দ্রবংশের ক্ষমতায় ছিলেন। 

ভিন্ন গ্রন্থ ঐতিহাসিকরা মনে করে পূর্ণচন্দ্র ও তার পুত্র সুবর্ণ চন্দ্র চন্দ্রবংশের প্রথম দিকের শাসক ছিলেন। 

কিন্তু তাদের রাজত্বকাল এবং তারা সে স্বাধীন রাজা ছিলেন বা রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যে সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। এজন্য ত্রৈলোক্যচন্দ্রকে চন্দ্রবংশের প্রথম ও স্বাধীন সার্বভৌম রাজা হিসেবে ধারণা করা হয়।

• চূড়ান্ত ক্ষমতা লাভ : অনেকের ধারণা চন্দ্রবংশ বলতে পূর্ণচন্দ্র ও সুবর্ণচন্দ্রকে বুঝায় কিন্তু আধুনিক গবেষক প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ধারণা করা হয় চন্দ্রবংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম শাসক শ্ৰী ত্রৈলোক্যচন্দ্র । 

তার হাত ধরেই চন্দ্র বংশ প্রসারিত হয়।তার স্বীয় মেধা যোগ্যতার বলে চন্দ্রবংশ পৃথিবীব্যাপী পরিচিত একটি রাজবংশ বলে পরিচিত লাভ করে। 

ত্রৈলোক্যচন্দ্রকে বলা হয় চন্দ্রবংশের ক্ষমতা লাভের মহানায়ক। ভিন্ন লিপি ও তাম্রশাসন থেকে জানা যায় তিনি বঙ্গ ও সমতটে প্রাধান বিস্তার করে এবং মহারাজাধিরাজ উপাধি ধারণ করে চন্দ্রবংশ প্রতিষ্ঠা ও শাসন করে। 

বলা যায় ত্রৈলোক্যচন্দ্র একজন সামন্ত থেকে স্বাধীন সার্বভৌম রাজা হন এবং স্বাধীন সার্বভৌম রাজা ত্রৈলোক্যচন্দ্রের হাত ধরেই চন্দ্র বংশীয় শাসনের সূত্রপাত ঘটে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার রাজবংশগুলোর মধ্যে ত্রৈলোক্যচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত চন্দ্রবংশ অন্যতম । ত্রৈলোক্যান্দ্র তার স্বীয় চেষ্টা যোগ্যতার দ্বারা দীর্ঘদিন শাসন ক্ষমতায় টিকেছিল চন্দ্র বংশ এজন্য চন্দ্রবংশের উত্থান ত্রৈলোক্যচন্দ্ৰ হাত ধরেই একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ