চন্দ্রবংশের শাসকদের বিবরণ দাও । চন্দ্রবংশের শাসকদের পরিচয় দাও

চন্দ্রবংশের শাসকদের বিবরণ দাও । চন্দ্রবংশের শাসকদের পরিচয় দাও
চন্দ্রবংশের শাসকদের বিবরণ দাও । চন্দ্রবংশের শাসকদের পরিচয় দাও

চন্দ্রবংশের শাসকদের বিবরণ দাও । চন্দ্রবংশের শাসকদের পরিচয় দাও

উত্তর : ভূমিকা : দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় খ্রিস্টিয় নবম-দশক শতকে একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে বংশ দ যোগ্যতা দক্ষতার বলে একটা বংশের নেতৃত্ব দিয়ে গেছে তার মধ্য অন্যতম বংশটি হলো চন্দ্রবংশ। 

চন্দ্রবংশের শাসকদের স্বায় যোগ্যতা দক্ষতার বলে চন্দ্রবংশ দীর্ঘদিন তাদের ক্ষমতায় ছিল। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

→ চন্দ্রবংশের শাসকদের বিবরণ : চন্দ্রবংশের শাসকদের বিবরণ দিতে হলে পর্যাপ্ত তথ্যের প্রয়োজন প্রাপ্ত তেমন কোনো তথ্য নেই বলে সংক্ষেপে চন্দ্রবংশের শাসকদের বিবরণ দেওয়া হলো-

১. রাজা ত্রৈলোক্যচন্দ্র : ধারণা করা হয় চন্দ্রবংশীয় রাজারা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার ভূস্বামী ছিলেন কুমিল্লার লালমাই অঞ্চলেই তাদের বাস ছিল। 

পর্যায়ক্রমে যখন তাদের উন্নতি হয় ধ্যানধারণার পরিবর্তন আসে অবস্থার উন্নতি হয় তখন ত্রৈলোক্যচন্দ্র তার শক্তি ও বুদ্ধিমান দ্বারা ক্ষুদ্র রাজ্যকে প্রসারিত করার পরিকল্পনা করে। 

ত্রৈলোক্যচন্দ্র বঙ্গের রাজা ছিল। তিনি বঙ্গ ও সমতট জয় করেছিলেন। তিনি একজন স্বাধীন পরাক্রমশালী রাজা ছিলেন। তিনি স্বাধীন চন্দ্রবংশের প্রতিষ্ঠাতা।

২. শ্রী চন্দ্র : পরাক্রমশালী রাজা ত্রৈলোকচন্দ্রের পর রাজা হলো তার সুযোগ্য পুত্র শ্রী চন্দ্র। শ্রী চন্দ্র সম্পর্কে অনেক গুণগান রয়েছে। বলা হয় শ্রী চন্দ্র চন্দ্রবংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট। 

তার সময়কালে চন্দ্রবংশের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। তিনি ৪৫/৪৬ বছর গৌরবের সাথে রাজ্য পরিচালনা করেন।

৩. কল্যাণচন্দ্র : যখন গৌরবের সাথে দীর্ঘকাল শ্রী চন্দ্রবংশ শাসন করেন হঠাৎ শ্রী চন্দ্রের মৃত্যু হলে তার সুযোগ্য পুত্র কল্যাণচন্দ্র চন্দ্রবংশের সিংহাসনে আরোহণ করেন। 

তিনি স্বীয় যোগ্যতা ও দক্ষতার বলে (৯৭৫-১০০০) খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব পরিচালনা করেন। তিনি একজন বিজেতা ছিলেন। তাকে বেশ কিছু উপাধি দেওয়া হয় তার যোগ্যতা ও দক্ষতা বিচার করে। 

তাকে বলা হয় 'কলানিলয়' 'দানেবলী' সভ্যবাধিতায় যুধিষ্ঠির ও বীরত্বে অর্জুন এসব উপাধি ও সম্মানসূচক পদ তাকে দেওয়া হয় ।

৪. চহচন্দ্র : কল্যাণচন্দ্রের পর সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী ছিলেন তার পুত্র লভহচন্দ্র। তিনি প্রায় ১৮বছর দক্ষতার সাথে রাজ্য পরিচালনা করেন। 

তিনি একজন ধর্মপ্রাণ পণ্ডিত ও জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পরধর্মের প্রতিও ছিলেন উদার অন্য ধর্মকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে কার্পণ্য করতেন না।

৫. গোবিন্দচন্দ্র : লডহচন্দ্রের পর তার পুত্র গোবিন্দচন্দ্র সিংহাসনে আরোহণ করেন। বিভিন্ন উৎস সম্পর্কে তার সম্বন্ধে জানা যায় । তিনি ছিলেন অগাধ পণ্ডিত একজন শাসক। 

তিনি ২৩ বছর মতান্তরে ২৫ বছর রাজ্য শাসন করেন তিনিই চন্দ্রবংশের শেষ রাজা। তিনি ধর্মের প্রতি ছিলেন উদার।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, চন্দ্রবংশীয় রাজারা যোগ্য, পক্ষ ছিলেন যার কারণ দীর্ঘকাল তারা বীরত্বের সাথে রাজবংশ পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে। 

শ্রী চন্দ্রবংশের ব্যাপক উন্নতি সাধন করে এগিয়ে নিয়েছিল তার বংশ বিবরণ তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চন্দ্রবংশ শাসন করে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ