গোপালের শাসনব্যবস্থা সংক্ষেপে আলোচনা কর

গোপালের শাসনব্যবস্থা সংক্ষেপে আলোচনা কর
গোপালের শাসনব্যবস্থা সংক্ষেপে আলোচনা কর

গোপালের শাসনব্যবস্থা সংক্ষেপে আলোচনা কর

  • অথবা, গোপালের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে কি জান? 

উত্তর : ভূমিকা : বাংলায় প্রথম স্বাধীন গৌড়াধিপতি শশাঙ্কের মৃত্যুর পর অন্তঃবিদ্রোহের এবং পার্শ্ববর্তী রাজাদের উপর্যুপরি আক্রমণের ফলে বাংলায় এক অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়। 

সাময়িককালের পর্যটক হিউয়েন সাঙ, লামা তারনাথের বিবরণ সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিত্র গ্রন্থ প্রভৃতির বিবরণ থেকে এ অস্থির অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। 

বাংলার এ অরাজক অবস্থাকে বলা হয় মাৎস্যন্যায় ৷ আর এ মাৎস্যন্যায় রোধ করে বাংলায় শাসন গড়েন পাল শাসকরা । পালবংশের প্রতিষ্ঠা ছিলেন গোপাল ।

→ গোপালের শাসনব্যবস্থা : গোপাল কত বছর রাজত্ব করেন তা সঠিক ভাবে জানা যায় না। তারানাথের মতে তিনি ৪৫ বছর রাজত্ব করেছেন । আবার কেউ কেউ বলেছেন তিনি ২৭ বছর শাসন করে ছিলেন । 

তিনি প্রাচীন বাংলায় বিশাল রাজত্ব কায়েম করেন । এ বিশাল সাম্রাজ্যে তিনি সুষ্ঠুভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলার ইতিহাসে গোপালের দক্ষতা ও যোগ্যতা তাকে কীর্তিমান পুরুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। 

মাৎস্যন্যায়ের মতো অরাজকতার অবসান কেবল নয় বরং রাজ্যবিস্তার, রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা, শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা সমস্তই তার অসাধারণ কৃতিত্বের কথা প্রমাণ করেছিল। 

গোপাল পিতার উত্তরাধিকার সূত্রে শুধু পিতার কাছে থেকে না পেলেও যোগ্যতাবলে বঙ্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এ রাজ্যকে তিনি বিশাল সাম্রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করেন।

. উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার শেষে আমরা বলতে পারি গোপাল শুধু রাজ্য প্রতিষ্ঠাই করেননি। তিনি রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শাসনব্যবস্থার সংস্কার করেন। 

তার এ সংস্কার কার্যে রাজ্যের উন্নতি সাধিত হয়েছিল। তাই তিনি ইতিহাসে আজও অমর হয়ে রয়েছেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ