প্রথম মহীপালের কৃতিত্ব লিখ। প্রথম মহীপালের কৃতিত্ব/অবদান সংক্ষেপে আলোচনা কর

প্রথম মহীপালের কৃতিত্ব লিখ। প্রথম মহীপালের কৃতিত্বঅবদান সংক্ষেপে  আলোচনা কর
প্রথম মহীপালের কৃতিত্ব লিখ। প্রথম মহীপালের কৃতিত্বঅবদান সংক্ষেপে  আলোচনা কর

প্রথম মহীপালের কৃতিত্ব লিখ। প্রথম মহীপালের কৃতিত্ব/অবদান সংক্ষেপে  আলোচনা কর

  • অথবা, শাসক হিসেবে প্রথম মহীপালের কৃতিত্ব বর্ণনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : আনুমানিক ৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় বিগ্রহপালের পুত্র প্রথম মহীপাল পাল সাম্রাজ্যের সিংহাসন আরোহণ করে। 

সে সময় পাল সাম্রাজ্য চরম দুর্দশা ও অবনতির চরম সীমায় পৌঁছে এবং তিনি বিলুপ্তপ্রায় পালসাম্রাজ্যকে পুনরুদ্ধার করে নবজীবন দান করেন। এছাড়া জনহিতকর কার্যাবলির জন্য প্রথম মহীপাল প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।

→ প্রথম মহীপালের কৃতিত্ব : প্রথম মহীপালের কৃতিত্ব সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :

১. হৃত সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার : প্রথম মহীপাল সিংহাসনে আরোহণের অল্প সময়ের মধ্যে হৃত সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হন। তার পঞ্চম রাজ্য প্রকাশিত বেলওয়া ও নবম রাজ্যকে প্রকাশিত বানগড় তাম্রশাসন থেকে এ হৃত সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার এর কথা জানা যায়। 

এ লিপিতে উল্লেখ আছে যে, মহীপাল রণক্ষেত্রে বাহুদর্প প্রকাশে সকল বিপক্ষদের নিহত করে, অনধিকার কর্তৃক বিলপ্ত পিতৃরাজ্য উদ্ধার সাধন করে, রাজগণের মস্তকে চরণপদ্ম সংস্থাপিত করে অবনিপাল হয়েছিলেন।

২. জনহিতকর কার্যাবলি : প্রথম মহীপালের জনহিতকর কার্যাবলির সুস্পষ্ট বিবরণ পাওয়া যায়নি। তবে তিনি যে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে ছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলার অনেক দিঘি ও নগর এখনো তার নামের সাথে বিজড়িত হয়ে আছে। 

রংপুর জেলার মাহীগঞ্জ, দিনাজপুর জেলার মহীসন্তোষ, বগুড়া জেলার মহীপুর, মুর্শিদাবাদ জেলার মহীপাল নগরী, দিনাজপুরের মহীপাল দিঘি এবং মুর্শিদাবাদের মহীপালের সাগর দিঘি এসবই প্রথম মহীপালের স্মৃতিবহ এবং প্রমাণ করে যে, বাংলার জনগণের কাছে তিনি কতখানি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।

৩. বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক : সারনাথ লিপি থেকে প্রথম মহীপালের ধর্মীয় উদারতা ও পৃষ্ঠপোষকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এ লিপি থেকে জানা যায় যে প্রথম মহীপালের আদেশে শ্রীমান স্থিরপাল ও শ্রীমান বসন্তপাল নতুন নতুন মন্দির নির্মাণ ও পুরাতন মন্দিরাদির সংস্কার সাধন করেন। 

তাছাড়া অগ্নিদাহে বিনষ্ট নালন্দা মহাবিহারে জীর্ণ উদ্ধার ও বুদ্ধ গয়ায় দুটি মন্দির প্রথম মহীপালের সময়েই নির্মিত হয়েছিল। পাহাড়পুরের ধ্বংসাবশেষে ও প্রথম মহীপালের সময় এ বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও নির্মাণ কাজের প্রমাণ মেলে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পাল রাজা প্রথম মহীপাল পাল সাম্রাজ্যের এক দুর্যোগময় মুহূর্তে সিংহাসনে আরোহণ করে পাল সাম্রাজ্যকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করে পাল সাম্রাজ্যকে 'নবজীবন দান করেন। 

প্রায় অর্ধশত কালের (৯৯৫-১০৪৩) রাজত্ব কালে তিনি উত্তর ও পশ্চিম বাংলার হৃত সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ