শ্রী চৈতন্যের ধর্মমত সম্পর্কে লিখ

শ্রী চৈতন্যের ধর্মমত সম্পর্কে লিখ
শ্রী চৈতন্যের ধর্মমত সম্পর্কে লিখ

শ্রী চৈতন্যের ধর্মমত সম্পর্কে লিখ

উত্তর : ভূমিকা : শ্রী-চৈতন্যের ধর্মের প্রবক্তা ছিলেন চৈতন্য | মহাপ্রভু। তিনি ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী এবং ষোড়শ শতাব্দীর বিশিষ্ট বৈষ্ণব ধর্ম ও সমাজসংস্কারক। 

শ্রী-চৈতন্যের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি ক্ষেত্র হলো বৈষ্ণব ধর্ম। এটি হিন্দুধর্মের একটি শাখা সম্প্রদায়। বৈষ্ণব ধর্মের অনুগামীদের বৈষ্ণব নামে অভিহিত করা হয় ।

→ শ্রীচৈতন্যের ধর্মের বর্ণনা: 

পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাব ছিল বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ইতিহাসের একটি প্রধান ঘটনা। 

এটি তখন একসময় যখন বাঙালি সামাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে রূপান্তরের প্রক্রিয়া ঘটেছিল সাড়ম্বরে। মুসলিম রাজানুকূল্যে একদিকে যেমন মুঘলমান সমাজ দ্রুত বিকাশ লাভ করে, অন্যদিকে হিন্দুধর্মের কুসংস্কারের ফলে সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। 

এমতাবস্থায় হুসেন শাহী বংশের অন্যতম শাসক সালাউদ্দিন হুসেন শাহ এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন। তার উদার নৈতিক মনোভাব ধর্মীয় ক্ষেত্রে একটি সমন্বয়সাধনের চেষ্টা করা হয়েছিল। 

তিনি হিন্দু কবিদের প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন উপাধি এবং পুরস্কার প্রদান করতেন। ফলে হিন্দু সাহিত্যিকগণ তাদের ধর্ম নিয়ে সাহিত্য রচনা শুরু করে। এরই পথ ধরে আবির্ভূত হন শ্রী-চৈতন্যদেব তার নব্য বৈষ্ণব দর্শন নিয়ে। 

চৈতন্যদেব তার ভক্তিবাণী বাণীর মাধ্যমে হিন্দুদেরকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে থাকেন। ফলে নতুন ধর্ম মতের উদ্ভব ঘটে এবং বাংলা সাহিত্যের বিকাশ সাধিত হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলা সাহিত্য বিকাশে এবং হিন্দুধর্মের প্রসারের ক্ষেত্রে শ্রী-চৈতন্যদেব অন্যতম একজন ব্যক্তি যার নামের মাধ্যমে বাংলায় একটি যুগ গণনা করা হয়। মূলত তিনি ছিলেন একজন ধর্ম প্রচারক তার ধর্ম প্রচারের মাধ্যমে হিন্দুধর্মের বিকাশ সাধিত হয়। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ