শ্রীচৈতন্য কে ছিলেন । শ্রীচৈতন্যের পরিচয় দাও

শ্রীচৈতন্য কে ছিলেন । শ্রীচৈতন্যের পরিচয় দাও
শ্রীচৈতন্য কে ছিলেন । শ্রীচৈতন্যের পরিচয় দাও

শ্রীচৈতন্য কে ছিলেন । শ্রীচৈতন্যের পরিচয় দাও

উত্তর : ভূমিকা : হিন্দু ধর্মের সংস্কার এবং বিভিন্ন পক্ষের বিরোধ থেকে এই ধর্মকে বাঁচাতে বা মুক্ত করার জন্য শ্রীচৈতন্যের প্রয়োজন ছিল।

তিনি ছিলেন সেই সময়ের একজন শ্রেষ্ঠ আলেম। তিনি বাংলার ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে সুদূরপ্রসারী সংস্কার সাধন করেন।

→ শ্রীচৈতন্যের পরিচয় : ১৪৮৫-৮৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপে শ্রীচৈতন্যের জন্ম। তাঁর পিতার নাম জগন্নাথ মিশ্র। তাদের আদি বাসস্থান ছিল শ্রীহট্ট জেলার (বর্তমান সিলেট জেলায়) ঢাকা দক্ষিণ নামক গ্রামে। 

শ্রীচৈতন্য শৈশব থেকেই একজন পণ্ডিত ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন। তার আসল নাম ছিল বিশ্বম্বর। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে নিমাই বলে ডাকত।

পিতার মৃত্যুর পর হিন্দু শাস্ত্রে মতে গয়াতে পিতার পিণ্ডদান করতে গিয়ে তিনি ঈশ্বরপুরী নামক এক সন্ন্যাসির সান্নিধ্যে আসেন এবং তার নিকট হতে কৃষ্ণমন্ত্র গ্রহণ করেন। 

এর পরই তার জীবনের গতি- প্রকৃতি সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায়। তিনি কেশব ভারতীয় এর নিকট সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেন। চব্বিশ বছর বয়সে তিনি সংসার ধর্ম ত্যাগ করেন। 

তিনি ঈশ্বর প্রেমে বিভোর হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন স্থান পরিভ্রমণ করেন। জীবনের শেষ কয়েক বছর তিনি পুরীতে ছিলেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ভক্তিবাদের প্রচারকদের মধ্যে শ্রীচৈতন্যই সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। অদ্বৈত ও নিত্যানন্দ ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ দুইজন শিষ্য। 

তাদের সাহায্য নিয়ে শ্রীচৈতন্য বাংলার ধর্ম ও সমাজজীবনে সুদূরপ্রসারী সংস্কারসাধন করেছিলেন। এই সাধক তার সাধনা দ্বারা আজও খ্যাত হয়ে আছেন। 

তার প্রদর্শিত পথে পরবর্তীতে অনেক শিষ্য আগমন করে ও এই চিন্তা ও ধর্মমতকে উন্নতির চরম সোপানে নিয়ে যান। শ্রীচৈতন্যকে আজও মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ