ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষে ধর্মপালের ভূমিকা আলোচনা কর
ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষে ধর্মপালের ভূমিকা আলোচনা কর |
ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষে ধর্মপালের ভূমিকা আলোচনা কর
- অথবা, ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষে ধর্মপালের কি ধরনের ভূমিকা ছিল?
উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে পাল শাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আর পাল শাসনের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা হলো ধর্মপাল।
ধর্মপালের রাজত্বকালে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষ। পাল তাম্রশাসন থেকে ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষ এবং এ সংঘর্ষে ধর্মপালের ভূমিকা পাওয়া যায় ।
→ ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষে ধর্মপালের ভূমিকা : অষ্টম শতাব্দীর শেষ দিকে এ ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের যবনিকা উত্তোলিত হয়। প্রথম দৃশ্যের অবতারণা হয় প্রতীহার রাজা বৎসরাজ ও ধর্মপালের সংঘর্ষে।
ধর্মপাল ও প্রতীহার রাজা বৎসরাজ মধ্যদেশে সাম্রাজ্য স্থাপনের চেষ্টায় অগ্রসর হন। ফলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং ধর্মপাল পরাজিত হন।
কিন্তু বৎসরাজ, মধ্যদেশ অধিকার বিস্তার করার আগেই দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রকূট রাজা ধ্রুবধারাবর্ষ আর্যাবর্তে বিজয়াভিযানে এসে প্রথমে বৎসরাজকে পরাজিত করেন এবং পরে ধর্মপালের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন।
ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষে প্রথম পর্যায়ে ধর্মপাল প্রতীহার ও রাষ্ট্রকূট শক্তির নিকট পরাজিত হলেও তার কোনো ক্ষতি হয়নি।
কারণ রাষ্ট্রকূট রাজা ধ্রুব তার বিজয় সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না করেই দাক্ষিণাত্যে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ধর্মপাল উত্তর ভারতে রাজ্য বিস্তারের সুযোগ পেয়ে যান এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মধ্যদেশে নিজ প্রভাব বৃদ্ধির সুযোগ পান ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রথম পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের অনিবার্য পরিণতি ছিল দ্বিতীয় পর্যায়ের সংঘর্ষে। কিন্তু উভয় পর্যায়ে ধর্মপাল খুব একটি ভূমিকা রাখতে পারেননি।
তবে এ দুটি পর্যায়ের অন্তর্বর্তীকালীন তিনি উত্তর ভারতের রাজনীতিতে স্বল্পকালের জন্য হলেও সাফল্য পেয়েছিলেন।