অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি কী
![]() |
অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি কী |
অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি কী
উত্তর : ভূমিকা : রাজনৈতিক সংস্কৃতি রাজনৈতিক আচার আচরণ, মূল্যবোধ ও দর্শনের পরিচায়ক। রাজনৈতিক কাঠামো ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান।
রাজনৈতিক ব্যবস্থার সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা, অধিকার ও দায়দায়িত্বের ভিত্তিতে তিন ধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠে। তন্মধ্যে অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি অন্যতম ।
অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি : অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইংরেজি শব্দ Subject political cuilture। রাজনৈতিক কৃষ্টির দ্বিতীয় শ্রেণি হচ্ছে অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
রাজনৈতিক ব্যবস্থা, সরকারি নিয়মকাকুন এবং সরকারের কার্যপ্রণালি ইত্যাদি সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা থাকলেও যখন দাবিদাওয়া পেশ এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা পরিলক্ষিত হয় তখন তাকে অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলে।
এ রাজনৈতিক কৃষ্টিতে সরকারি কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত। এমনকি দায়িত্ব পালনে উদাসীনতার মনোভাব পরিলক্ষিত হয়।
যেমন— ইতালি ও জার্মানির রাজনৈতিক সংস্কৃতি ।অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির কতিপয় সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নিম্নরূপ :
প্রথমত, অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ সীমিত।
দ্বিতীয়ত, এ রাজনৈতিক কৃষ্টিতে জনসমষ্টি রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান লক্ষ্যবস্তুরূপে পরিগণিত হয়।
তৃতীয়ত, এ রাজনৈতিক কৃষ্টিতে নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনগণের ভূমিকা অত্যন্ত গৌণ প্রকৃতির হয়ে থাকে।
চতুর্থত, অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রাজনৈতিক ব্যবস্থার সাথে জনগণের সম্পর্ক নিষ্ক্রিয় প্রকৃতির হয়।
পঞ্চমত, সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জনগণ আগ্রহী নয় ।
ষষ্ঠত, সাধারণ জনগণ সরকারি সিদ্ধান্তকে অপ্রতিরোধ্য বলে মনে করে।
সুতরাং বলা যায় যে, অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রাজনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জনগণ নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত নয় এবং অর্পিত দায়িত্ব পালনে জনসাধারণের মধ্যে উদাসীনতা পরিলক্ষিত হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সরকার এবং জনসাধারণের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের মধ্যে কম ঘনিষ্ঠতা পরিলক্ষিত হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে অনীহা কাজ করে। ফলে রাজনৈতিক উন্নয়নে অধীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি কিছুটা ব্যর্থ বলে অনেকেই মত দিয়েছেন।