আত্মহত্যা কত প্রকার ও কি কি

আত্মহত্যার প্রকারভেদ আলোচনা কর
আত্মহত্যার প্রকারভেদ আলোচনা কর

আত্মহত্যার প্রকারভেদ আলোচনা কর | আত্মহত্যা কত প্রকার ও কি কি

  • অথবা, ডুর্খেইমের আলোকে আত্মহত্যার প্রকারভেদ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ভূমিকা : সমাজবিজ্ঞানী ডুর্খেইমের সামাজিক তত্ত্বগুলোর মধ্যে আত্মহত্যা একটি উল্লেখযোগ্য তত্ত্ব। আত্মহত্যা একটি সামাজিক ঘটনা যেটি সামাজিক সংহতি এবং যৌথ চেতনার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ডুর্খেইম তাঁর 'Suicide' গ্রন্থে এ বিষয়ে সর্বপ্রথম আলোচনা করেন।

আত্মহত্যার প্রকারভেদ : ডুর্খেইম আত্মহত্যাকে তিনভাগে ভাগ করেছেন। 

নিম্নে এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. আত্মকেন্দ্রিক আত্মহত্যা : সমাজ বা গোষ্ঠীর সাথে ব্যক্তির সংহতির অভাব দেখা দিলে এ ধরনের আত্মহত্যা ঘটে। এ পর্যায়ে ব্যক্তি সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং সমাজের মূল্যবোধ ও নীতিমালা ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। 

যে সমাজে সংহতি কম থাকে সে সমাজে এ ধরনের আত্মহত্যা ঘটে। ডুর্খেইম পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেখান যে বিবাহিতদের চেয়ে অবিবাহিতদের মধ্যে, পুরুষের চেয়ে নারীর মধ্যে, গ্রামবাসীর চেয়ে নগরবাসীর মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি।

২. পরার্থপর আত্মহত্যা : এ ধরনের আত্মহত্যা ব্যক্তিকেন্দ্রিক আত্মহত্যার সম্পূর্ণ বিপরীত। যেখানে ব্যক্তির সাথে সমাজের অতিরিক্ত সংহতি দেখা দেয় সেখানে এ ধরনের আত্মহত্যা ঘটে। 

এ ধরনের আত্মহত্যা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় কেননা এ ব্যক্তি সমাজের স্বার্থে তার জীবন বিসর্জন দেয়।

৩. নৈরাজ্যমূলক আত্মহত্যা : ডুর্খেইম আরেক ধরনের আত্মহত্যার কথা বলেছেন যেটা নৈরাজ্যমূলক আত্মহত্যা নামে পরিচিত। 

এ ধরনের আত্মহত্যাকে তিনি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন কেননা এটা আধুনিক সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ব্যক্তির উপর সমাজের কোন ধরনের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে এ ধরনের আত্মহত্যা সংঘটিত হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় আত্মহত্যা একটি সামাজিক ঘটনা যা সমাজের সমন্বিত রূপের ফলশ্রুতি এবং ডুর্খেইমের আলোচনার একটি ধারাবাহিক রূপ। তবে সমাজের সমন্বয়ের উপর এর ভিন্নতার মাত্রা নির্ভর করে । 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ