মানবসভ্যতার উত্থান পতন সম্পর্কে ইবনে খালদুনের তত্ত্বটি আলোচনা কর

মানবসভ্যতার উত্থান পতন সম্পর্কে ইবনে খালদুনের তত্ত্বটি আলোচনা কর
মানবসভ্যতার উত্থান পতন সম্পর্কে ইবনে খালদুনের তত্ত্বটি আলোচনা কর

মানবসভ্যতার উত্থান পতন সম্পর্কে ইবনে খালদুনের তত্ত্বটি আলোচনা কর

  • অথবা, মানবসভ্যতার উত্থান পতন সম্পর্কে ইবনে খালদুনের মতবাদটি সমালোচনাসহ ব্যাখ্যা কর। 
  • অথবা, ইবনে খালদুনের আসারিয়া মতবাদটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ভূমিকা : পাশ্চাত্য সভ্যতার গৌরব রবি যখন প্রায় অন্তমিত, বৌদ্ধিক জীবনেও ঠিক তখন সূচিত হয় সুনিশ্চিত ভাটা। এ সময় মুসলিম জ্ঞান ও সত্যানুসন্ধানের ক্ষেত্রে নেমে আসে এক দুঃখজনক অচলাবস্থা, স্থবিরতা। 

মুসলিম জাহানের সংহতি, ঐক্য ও সংযমের স্থান দখল করে বসেছে রক্তক্ষয়ী, অন্তর্দ্বন্দ্ব, অসংযম ও অরাজকতা। এমন সময় আবির্ভূত হলেন অসাধারণ ধীশক্তি ও প্রশংসনীয় মৌলিকতার অধিকারী ইবনে খালদুন।

১৩৭৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইবনে খালদুন তাঁর বিখ্যাত 'কিতাবুল ইবার' বা 'বিশ্ব ইতিহাস' গ্রন্থ রচনা শুরু করেছেন। 

এটি তিন খণ্ডে বিভক্ত ছিল এবং প্রথম খণ্ডটি ছিল 'আল-মুকাদ্দিমা'। তিনি বিখ্যাত ইংরেজ দার্শনিক সমাজবিজ্ঞানী Becklay এর পথপ্রদর্শক।

ইবনে খালদুন 'আল-মুকাদ্দিমা' মানবীয় জীবনযাত্রার রীতিনীতি উদ্ভাবনে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় রূপায়ণে বর্ণ, আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক উৎপন্ন দ্রব্য প্রভৃতির প্রভাব কিভাবে প্রতিফলিত হয় তার বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা করেছেন। 

তিনি সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কিত অস্পষ্ট ধারণাগুলোকে স্পষ্ট রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এদিক থেকে তাকে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

ইবনে খালদুন তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ আল-মুকাদ্দিমা'র প্রথম খণ্ডে সমাজ ও রাষ্ট্রের উত্থানপতন সংক্রান্ত মতবাদ প্রদান করেন। এ মতবাদই হল আসাবিয়া। 'আল মুকাদ্দিমা'য় প্রধান ছয়টি বিষয় রয়েছে। সেগুলো হল :

ক. মানবসমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা।

খ. যাযাবর সমাজের বর্বর গোষ্ঠীসমূহের জীবন নিয়ে আলোচনা ।

গ. শহর, নগর ও প্রদেশ সম্পর্কে আলোচনা।

ঘ. অর্থনৈতিক জীবন সম্পর্কে আলোচনা।

ড. রাষ্ট্র সম্পর্কে আলোচনা।

চ. জ্ঞান আহরণের বিভিন্ন পদ্ধতি এবং তার প্রকৃত রূপ সম্পর্কে আলোচনা।

আসাবিয়া তত্ত্ব : রাষ্ট্র ও শাসক সম্প্রদায়ের উত্থানপতনের উপর ইবনে খালদুন যে তত্ত্বের কথা বলেছেন, তাঁর এ তত্ত্বই “আসাবিয়া” । আসাবিয়া প্রত্যয়টি আলোচনার পূর্বে জানা দরকার হবে আসাবিয়া কি?

আসাবিয়া শব্দটি আরবি শব্দ থেকে এসেছে। তাই এর যথার্থ অনুবাদ করা মুশকিল। 'আসাবিয়া'র ইংরেজি প্রতিশব্দ হল 'Social solidarity' এবং এর বাংলা প্রতিশব্দ সামাজিক সংহতি।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা : বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী একে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিম্নে তাঁদের কয়েকটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হল :

সমাজবিজ্ঞানী রাজেন সেল আসাবিয়া বলতে দলের মিলিত ইচ্ছাশক্তিকে বুঝিয়েছেন।

অধ্যাপক টয়েনবী বলেছেন, “আসাবিয়া হল দলের স্পিরিট বা সামাজিক কার্যকারণ, যা নিজেরই মধ্যে প্রকাশ পায়।”

মুহসীন মাহদীও আসাবিয়াকে Solidarity অর্থে ব্যবহার করেছেন ।

ইবনে খালদুন Corporate mend of a group এর অভিব্যক্তি জ্ঞান করার জন্য আসাবিয়া শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আসাবিয়ার মাধ্যমে গোষ্ঠী বা গোষ্ঠীর অধিপতি রাজনৈতিক কর্ম প্রয়াসের ক্ষেত্রে তার ঐক্যবদ্ধ মনিবের প্রতিফলন ঘটাতে এবং তার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের পতন ও সংরক্ষণ ঘটাতে সক্ষম হন।

আসাবিয়া বলতে ব্যক্তি বা দলের অন্তর্নিহিত শক্তি নির্যাসকে বুঝায়। যে শক্তির বলে কোন শক্তি তার অনুসারীদের ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম ও সম্মোহিত করে কোন উদ্দেশ্য সাধনে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয় এবং যে অদৃশ্য শক্তি বিক্ষিপ্ত জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে ও আবদ্ধ উদ্দেশ্য সাধনে উদ্বুদ্ধ করে ও বিজয়ের পথে ধাবিত করে তাকে আসাবিয়া বলা যেতে পারে।

ইবনে খালদুনের মতে, “আসাবিয়ার মূল লক্ষ্য হল সামাজিক সার্বভৌমত্ব। আসাবিয়া মানুষকে তার সর্বজনীন উদ্দেশ্য সাধনে ঐক্যবদ্ধ করে।”

খালদুনের মতে, “আসাবিয়ার মূলভিত্তি পারিবারিক বন্ধন, জাতীয়তাবাদের অনুপ্রেরণা ও ধর্মীয় একাত্মবোধ প্রভৃতি।” 

আসাবিয়ার চারটি দিক আছে। যথা :

ক. অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে সংহতি : তিনি মনে করেছেন আসাবিয়া আর্থিক, জাগতিক ও বস্তুগত প্রয়োজন থেকে উদ্ভূত । জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তাই এ সংহতির কারণ ।

খ. পরিবেশ ও বাস্তবতার ভিত্তিতে সংহতি : সব পরিবেশে জীবনধারণ করা সম্ভব নয়। যেমন- শীতপ্রধান ও পাহাড়ি অঞ্চলে জীবনসংগ্রাম অত্যন্ত তীব্র বলে সামাজিক সংহতি অত্যন্ত তীব্র।

গ. কলাকৌশল সংহতি : জীব মাত্র সামাজিক কারণে নয়, গুণগত কারণে আসাবিয়ার উৎপত্তি হয়। কলাকৌশল ফলতে তিনি উন্নততর যান্ত্রিক ও কারিগরি জ্ঞানকে উল্লেখ করেছেন।

ঘ. বিবর্তনগত সংহতি : খালদুন বিবর্তনকে সংহতির আরেকটি দিক বলে বর্ণনা করেছেন।

রাষ্ট্রের উত্থানপতন : রাষ্ট্রও ব্যক্তির ন্যায় জন্ম-মৃত্যুর সম্মুখীন হবে বলে ইবনে খালদুন মনে করেছেন। কোন রাষ্ট্রের স্বাভাবিক জীবনকাল ১২০ বছর। তাঁর মতে, রাষ্ট্র সৃষ্টির স্বাভাবিক মূলভিত্তি হল আসাবিয়া। রাষ্ট্র ৫টি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয় । যথা :

১. ভূখণ্ড বিজয় : ইবনে খালদুন মনে করেছেন, মানবজীবনের স্বাভাবিক তাগিদে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে। মানুষের পারস্পরিক সহযোগিতা তার উৎস থেকে সমাজের সৃষ্টি হয়। 

এটা প্রথম পর্যায়ে রক্ত সম্পর্কসূত্রে গঠিত বংশ বা সম্প্রদায়ের মধ্যে জাগ্রত হয়। পরে এর পরিণতির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজ সত্তার জন্ম হয়। ধীরে ধীরে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি দেখা যায়। 

একপর্যায়ে এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে পরাজিত করে রাজত্ব অধিকার করে। শাসক রাজা হিসেবে নয়, বরং গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে পদমর্যাদা ভোগ করে।

২. সাম্রাজ্য গঠন : এ পর্যায়ে তিনি সার্বভৌম ক্ষমতা একচ্ছত্রভাবে করায়ত্ত করেছেন এবং তার অনুসারীদের বাদ দিয়ে একাই সে ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। 

ধর্মের ভিত্তিতে উপজাতীয় সদস্যরা তার শাসনক্ষমতার সমান ভাগিদারি করলেও তিনি সে দাবি অগ্রাহ্য করেন নি। 

তিনি সংহতিবোধ বা আসাবিয়াতের উপর নির্ভর না করে তার ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য একটি ভাড়াটে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্র গঠন করেছেন।

৩. সর্বোচ্চ স্তরে আরোহণ : এ পর্যায়ে বিলাসিতা ও অবসর ভোগ শুরু হয়। শাসক দেশের অর্থব্যবস্থা গঠন এবং তার আয় বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেছেন। 

তিনি সভ্য রাষ্ট্রগুলোর অনুকরণে বিভিন্ন নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অকাতরে অর্থ ব্যয় করেছেন। তিনি তার অনুসারীদের ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করেছেন। 

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাধনও শুরু হয়। নতুন শাসকগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় কারিগরি শিক্ষা চারুকলা ও বিজ্ঞানের প্রসার ঘটে।

৪. শক্তি হ্রাস : এটা সন্তুষ্টির যুগ। বিলাসিতা, আরাম আয়েশ ও কামনা বাসনা চরিতার্থ করা তাদের এক অভ্যাসে পরিণত হয়। 

তারা তাদের পূর্বসূরিদের রক্ষিত বস্তু সম্পদের উপর নির্ভর করেন এবং যেসব শক্তি তাদের সমৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে, সেসব শক্তি মোকাবিলায় সামর্থ্যহীনতার পরিচয় দেন।

৫. পতন : এ পর্যায়ে রাষ্ট্রের শক্তি হ্রাস ও সংহতির বিন্যাস প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং অমিত ব্যয় ও অপচয়ের পঞ্চম ও সর্বশেষ পর্যায়ের সূচনা হয়। 

এ পর্যায়ে শাসক তার লোভলালসার স্বার্থে পূর্বপুরুষদের সঞ্চয় বিনষ্ট করেন এবং তিনি তার সৈন্যদের অংশবিশেষ হারান। কারণ তাদের পারিশ্রমিকের অর্থ নিজে ব্যয় করেন। 

এ পর্যায়ে রাষ্ট্র স্বাভাবিক অবস্থায় পরিণত হয় এবং নিশ্চিতভাবে ধীরে ধীরে সহিংস পথে মৃত্যুবরণ করে বিলাসিতার নৈতিক অবক্ষয় অধিকন্তু আরাম আয়েশ ও বিলাসিতার অভ্যাস, দৈহিক দুর্বলতা ও নৈতিক অবনতি ঘটায়। 

রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠীর আদিম জীবনের কঠোর ও সাহসী রীতি বদলে যায়। মাত্রাতিরিক্ত কর এবং আক্রমণের ভয় শাসিতদের হতাশ করে। 

এর ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যায়। লোকজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে না। জন্মহার হ্রাস পায়। মানুষ শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। 

তারা বড় বড় শহরে বাস করে বলে রোগের শিকারে পরিণত হয়। অর্থনৈতিক কাজকর্ম এবং জনসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকায় রাষ্ট্র খণ্ডখণ্ড হতে শুরু করে। 

রাজধানীতে সৈন্য এবং বেসরকারি আমলারা ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। শেষ পর্যন্ত বাইরের কোন আক্রমণকারী রাষ্ট্র জীবনাবসান ঘটায় এবং রাষ্ট্রের পতন ঘটতে থাকে।

রাষ্ট্র শাসনের ভিত্তি : ইবনে খালদুন ব্যক্তিবিশেষের হাতে শাসনভার ন্যস্ত করার পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি মনে করতেন, শাসনক্ষমতা একজনের কাছে থাকলে রাষ্ট্রের উন্নতি হবে এবং কাজে শৃঙ্খলা ও সংহতি আসবে। 

মানুষের পশুসুলভ মনোবৃত্তিকে দমন করার জন্য এককেন্দ্রিক শক্তিশালী শক্তির সংযোজন। প্রত্যেক সমাজ এ রকম একটা শক্তির চালনা করে, যা তার সদস্যদেরকে পরস্পর কলহ হতে বিরত রাখবে। এ ক্ষমতা প্রদানের মাধ্যমে অপরিসীম শক্তির প্রয়োগ ক্ষমতার অপর নাম সার্বভৌম।

রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তায় গৃহীত পদক্ষেপ : ইবনে খালদুনের একটি বিশেষ অবদান হল তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান গবেষণায় ঐতিহাসিক বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। 

এদিক থেকে তিনি এরিস্টটলের সমকক্ষ। তিনি রাষ্ট্রের ঐশী উৎপত্তিকেও বিশ্বাস করতেন না। রাষ্ট্রের উৎপত্তি মূলত যৌথ মনের মধ্যে নিহিত। তাছাড়া তিনি ইতিহাসকে বিজ্ঞানের পর্যায়ে উন্নীত করেছেন।

সমালোচনা : মানবসভ্যতার উত্থানপতনে ইবনে খালদুন যে তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন তা তাঁকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে সত্য কিন্তু সমালোচনার উর্ধ্বে প্রতিষ্ঠিত করে নি।

১. কার্ল মার্কস মানব ইতিহাসের সম্পূর্ণটাই বিশ্লেষণ করেছেন। কিন্তু ইবনে খালদুন মানব ইতিহাসের খণ্ডিত অংশের বিশ্লেষণ করেছেন।

২. ইবনে খালদুনের পড়াশুনা ও অভিজ্ঞতা একমাত্র মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সমসাময়িক গ্রিক বা পূর্বেকার জাতি বা সভ্যতার ইতিহাসের তথ্য জানার বিশেষ সুযোগ তিনি পান নি ।

৩. ইবনে খালদুনের মতে, কোন সমাজের চেহারা বদলায় অন্য জাতি বা সমাজের সংস্পর্শে। মূলত সামাজিক কাঠামো বদলাতে উৎপাদন পদ্ধতির বিবর্তন প্রধানত দায়ী।

৪. তিনি রাষ্ট্রের স্বাভাবিক আয়ু সম্পর্কে বলেছেন, এর স্থায়িত্বকাল চার পুরুষ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের স্থায়িত্বকাল কমবেশি হতে পারে।

৫. ইবনে খালদুনের রাষ্ট্রীয় তত্ত্ব সম্পর্কিত আলোচনাটি সুসংবদ্ধ নয় ।

৬. রাষ্ট্রের উত্থানপতনের মূলে রাষ্ট্র সর্বজনস্বীকৃত পায় নি। তাছাড়া আজও অনুন্নত বিশ্বের কেবলমাত্র সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা লিপ্সার কারণে রাষ্ট্রের উত্থানপতন ঘটেছে।

৭. তাঁর মত খণ্ডন করে বলা যায়, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কেবলমাত্র গণতন্ত্র থেকে রাজতন্ত্রে অগ্রসর হয় না, বরং রাজতন্ত্র থেকে সমাজতন্ত্রে অগ্রসর সম্ভব।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, রাষ্ট্রের উত্থানপতন তত্ত্বে আসাবিয়ার গুরুত্ব কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। 

পৃথিবীর সকল শাসক শ্রেণীর উত্থানপতন কালে ইবনে খালদুন বর্ণিত শর্তাবলির উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। প্রত্যেক রাজনৈতিক দর্শন, রাজনৈতিক কর্মসূচি, রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগ্রাম স্বীয় সামাজিক পরিবেশ দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ