সামষ্টিক মূল্যায়ন কি - সামষ্টিক মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়

 আমাদের আরো একটি নতুন পোস্টে আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি।প্রিয় দর্শকগন আপনাদের মনে কখনো কি প্রশ্ন আসে! শিক্ষার্থীদের সামস্টিক মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়? 

সামষ্টিক মূল্যায়ন কি - সামষ্টিক মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়
সামষ্টিক মূল্যায়ন কি - সামষ্টিক মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়

এখন আমি আপনাদের সঙ্গে এমন একটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব যার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে শিক্ষার্থীদের তাদের শিখার যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হয়। 

এমন একটি পদ্ধতির নাম হচ্ছে সামস্টিক মূল্যায়ন। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক সামস্টিক মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়। 

সামষ্টিক মূল্যায়ন কি

সামষ্টিক মূল্যায়ন হচ্ছে এমন একটি মূল্যায়ন পদ্ধতি যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি সময়ে কোর্স বা বিষয় শেষ করার পর শিক্ষার্থী কতটুকু জ্ঞান অর্জন করল তা মূল্যায়ন করা হয়। সামষ্টিক মূল্যায়নের আরো একটি নাম রয়েছে সেটি হচ্ছে প্রান্তিক মূল্যায়ন।

সামষ্টিক মূল্যায়ন এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোন বিষয় সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান অর্জন করলো, কি কি শিখলো সে বিষয়ে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। এটি শিক্ষা পরিকল্পনা অথবা শিক্ষা কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে বিবেচিত। 

আর.এন. প্যাটল সামষ্টিক মূল্যায়ন সম্পর্কে একটি সংজ্ঞা আবিষ্কার করেছেন। “কোন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও সর্বশেষ মূল্যায়ন বা সিদ্ধান্তকে সামষ্টিক মূল্যায়ন বলে”। 

এই সংজ্ঞার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকাশ পায়। সেটি হচ্ছে- শিক্ষার্থীদের দক্ষতার পরিচয়, শিক্ষা কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, শিক্ষার্থীর জ্ঞান অর্জন করা বিষয়ের উপর পারদর্শিতা ইত্যাদি। 

সামস্টিক মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়

শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হয়। যেমন- লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা/ভাইভা , ব্যবহারিক পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, ট্রাম পেপার।

বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে সামষ্টিক মূল্যায়ন সাধারণত যেভাবে হয়ে থাকে সেটি হল- প্রথম সাময়িক পরীক্ষা, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা এবং বছরের শেষে ফাইনাল পরীক্ষা। এছাড়াও প্রতিটি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে ক্লাস টেস্ট নেয়া হয়ে থাকে। 

স্থান- সামষ্টিক মূল্যায়ন নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্মানিত সকল শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন করা হয়।এটি এমন একটি পদ্ধতি যার ফলে শিক্ষার্থীদের শিখন পদ্ধতির ধারণা পাওয়া যায়। 

সময়- সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় নির্ধারণ করা হয়। যেমন- তিন মাস, ছয় মাস, পাঁচ মাস, অথবা এক বছর।

গ্রেডিং পলিসি- এই সময়টি শেষ হওয়ার পর ছাএ-ছাএীদের অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী নির্দিষ্ট নম্বর গ্রেড অথবা মার্কশিট প্রদান করা হয়। 

যারা সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে থাকে তাদেরকে প্রথম স্থানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং নির্দিষ্ট কয়েকজনকে ভালো ফলাফলের জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। 

সার্টিফিকেট- বাকিরা যারা পাস করে তাদেরকে পাশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং যারা ফেইল করে তাদেরকে ফেইলের তালিকায় যুক্ত করা হয়। যারা ভালো রেজাল্ট করে এবং পাশ করে তাদেরকে সার্টিফিকেট প্রদান করা  হয়। 

এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে এমন কিছু শিক্ষার্থী থাকে যারা হায়েস্ট গ্রেড পাওয়ার কারণে তাদেরকে গোল্ড মেডেল ও পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। 

পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের আজকের আলোচনাটি পর্যবেক্ষণ করলে আপনি সামষ্টিক মূল্যায়ন সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা লাভ করতে পারবন। যদি আপনার ঘরে ছাত্র ছাত্রী থাকে তাহলে তাদেরকে কিভাবে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামষ্টিক মূল্যায়ন করছে সেই বিষয়েও আইডিয়া পেয়ে যাবেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ