শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর

শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর
শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর

শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর

  • অথবা, শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বের ধরন ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ ভূমিকা : মার্কস বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শ্রেণির উল্লেখ করেছেন। তিনি মূলত দুটি শ্রেণিকে সমাজে দেখেছেন এবং সেখানে সামাজিক শ্রেণি উপস্থিত। তার মতে দুটি শ্রেণি হলো Haves ও Haves not.

শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বের ধরন : নিম্নে শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বের ধরন ব্যাখ্যা করা হলো :

i. আদিম সাম্যবাদী সমাজ : আদিম সাম্যবাদী সমাজে মানুষের জীবন ছিল অনেক সংগ্রামমুখর। এ সমাজের বৈশিষ্ট্য ছিল 'Either a feast or a fast.' এ কারণে এ সমাজে তেমন শ্রেণি চেতনা উপস্থিত ছিল না বললেই চলে। 

ii. দাস সমাজ : দাস সমাজে একদিকে মালিক অন্যদিকে দাস। একজন দাসের জীবন মরণ তার মালিকের ইচ্ছার উপর নির্ভর করতো। এখানে শ্রেণিসংগ্ৰাম উপস্থিত ছিল।

iii. সামন্ত সমাজ : এ সমাজে ভূস্বামীদের প্রভাব সর্বাপেক্ষা বেশি ছিল। তারা প্রজাদের উপর শোষণ চালাত তাই বলা হয়েছে The former exploit the latter. ' সামন্তপ্রভুরা তাদের প্রজাদের উপর মারাত্মক নিপীড়ন চালাত।

iv. পুঁজিবাদী সমাজ : ১৫ বা ১৬ শতাব্দীতে পুঁজিবাদী সমাজের উদ্ভব ঘটে। মার্কসের মতে এ সমাজে মধ্যবিত্ত বলতে কিছুই নেই। কারণ এ দোদুল্যমান সমাজে কিছুসংখ্যক বুর্জোয়া শ্রেণিতে আর কিছুসংখ্যক প্রলেতারিয়াতের মধ্যে পড়ে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শ্রেণিসংগ্ৰাম আদিম সমাজে বিদ্যমান ছিল তা বর্তমান সমাজেও রয়েছে। তবে পুঁজিবাদী রা তাদের রূপ পরিবর্তন করাতে শ্রেণিসংগ্রামের রূপও বার বার পরিবর্তিত হয়েছে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ