ইকোসিস্টেম কিভাবে কাজ করে। ইকোসিস্টেমের কাজ করার প্রক্রিয়া তুলে ধর

ইকোসিস্টেম কিভাবে কাজ করে। ইকোসিস্টেমের কাজ করার প্রক্রিয়া তুলে ধর
ইকোসিস্টেম কিভাবে কাজ করে। ইকোসিস্টেমের কাজ করার প্রক্রিয়া তুলে ধর

ইকোসিস্টেম কিভাবে কাজ করে। ইকোসিস্টেমের কাজ করার প্রক্রিয়া তুলে ধর

উত্তর : ইকোসিস্টেমের কাজ করার প্রক্রিয়া। পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান একে অপরের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই বাস্তুতন্ত্রের এই জটিল সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। 

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বাস্তুতন্ত্রের ভূমিকা অন্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার একক। 

যেকোনো পরিবেশের বাস্তু মোটামুটিভাবে স্বনিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। তবে সময় ব্যবধানে প্রকৃতির যে কোনো জীবের সংখ্যা বাড়লেও কিন্তু অকস্মাৎ করে বেশি বাড়তে বা কমতে পারে না। 

প্রতিটি জীব একে অপরের উপর নির্ভরশীল। কেননা এরা খাদ্য শৃঙ্খলে মাধ্যমে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। কোন একটি পরিবেশে বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন জীবের সংখ্যার অনুপাত মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকে।

অজৈব উপাদান : চিত্রে প্রদত্ত অজৈব উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে পানি, খনিজ লবণ, CO2, O2, N, সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সবুজ উদ্ভিদ এই পানি CO2 থেকে খাদ্য তৈরি করে। এছাড়াও সবুজ উদ্ভিদ বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবণ পুষ্টির জন্য গ্রহণ করে থাকে।

উৎপাদক : যে সকল প্রাণী নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে তাদের উৎপাদক বলে। চিত্রে প্রদত্ত সবুজ উদ্ভিদ বাস্তুসংস্থানের উৎপাদকের নিজের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে এবং অন্যান্য সব জীব এদের নির্ভর করে জীবন ধারণ করে।

খানক যে সকল শ্রেণির প্রাণীরা চিত্রে প্রদত্ত ইঁদুর, ঘাসফড়িং, সাপ ও ঈগল ইত্যাদি খাদক পর্যায়ভূক্ত। এই খাদক স্তরকে তিনটি শ্রোণিতে ভাগ করা হয়েছে।

১. প্রথম স্তরের খাদক : যে সকল খাদক সরাসরি উৎপাদক খেয়ে জীবন ধারণ করে তাদের প্রথম স্তরের খাদক বলে। যেমন- ইঁদুর, ঘাসফড়িং ইত্যাদি ।

২. দ্বিতীয় স্তরের খাদক : যে সকল প্রাণী প্রথম স্তরের খাদক খেয়ে বেঁচে থাকে তাকে দ্বিতীয় স্তরের খাদক বলে। মেযন- সাপ ইত্যাদি ।

৩. তৃতীয় স্তরের খাদক : যারা দ্বিতীয় স্তরের খাদক ভক্ষণ করে তাদের তৃতীয় স্তরের খাদক বলে। যেমন: ঈগল ইত্যাদি ।

বিয়োজক : মৃতজীবী ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া বিয়োজক রূপে- কাজ করে। সবুজ উদ্ভিদ, ইঁদুর, ঘাসফড়িং, সাপ, ঈগল প্রভৃতি প্রাণীর মৃত্যু ঘটলে এদের উপর বিয়োজকগুলো সক্রিয় ক্রিয়া করে অজৈব পদার্থ ও লবণমুক্ত করে। 

পরবর্তীতে প্রাকৃতিক নিয়মে এইসব বিয়োজিত পদার্থ ও লবণ আবার সবুজ উদ্ভিদ গ্রহণ করে থাকে। 

পরিশেষে বলতে পারি যে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য জৈব ও অজৈব উপাদানগুলো এভাবে ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র কাজ করে থাকে।  

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ