কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্য লেখ । কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি

কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্য লেখ । কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি
কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্য লেখ । কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি

কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্য লেখ । কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি

  • অথবা, সংক্ষেপে কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্যগুলো লিখ। 
  • অথবা, কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।

ভূমিকা : সবুজ ফসলে ভরা আমাদের এই বাংলাদেশে বনায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। বনায়ন আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য বেশ সহায়ক। 

কারণ বনায়ন, গাছপালা বায়ু হতে ক্ষতিকর CO, শোষণ করে এবং O, ড্যাগ করে পরিবেশকে নির্মল রাখে। এজন্য বনের পরিবেশগত গুরুত্ব অপরিসীম। 

আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কায়ন গড়ে উঠতে দেখা যায়। এদের মধ্যে কৃষি বনায়ন অন্যতম। কৃষি বনায়ন এর জন্য একসাথে ফসল ও উদ্ভিদের চাষ করা হয়। 

যেহেতু আমাদের দেশের শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই সবাই যদি বনায়নে আগ্রহী হয় তবে কৃষি বনায়ন গড়ে তোলা কঠিন ব্যাপার নয়।

কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্য : কৃষির সাথে বনায়নের একটি সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। কারণ বন ও কৃষি সেই আদিকাল থেকে একসাথে চলে আসছে। আদিমকালের মানুষের অর্থনীতির ভিত্তি ছিল বননির্ভর অর্থনীতি। 

নিম্নে কৃষি বনায়নের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো :

১. স্বল্প ঝুঁকিতে বনায়ন : পৃথিবীতে সকল কাজেই কোনো না কোনো ঝুঁকি থাকে। তেমনি সামাজিক বনায়নে তথা কৃষি ঝুঁকি থাকলেও এর পরিমাণ কম, যা মাঠ ফসলের খুব একটা ক্ষতি হয় না। 

আমাদের দেশে কৃষি বনায়ন যেহেতু কৃষির মত করে উৎপাদন করা হয় তেমনি এর ঝুঁকির মাত্রা অনেক কম।

২. সমন্বিত প্রক্রিয়া : কৃষি বনায়ন হলো এমন এক ধরনের বনায়ন যেখানে একই সাথে ফসল ও গাছপালা রোপণ করে চাষাবাদ করা হয়। 

যেমন- আম বাগানে আদা, হলুদ ইত্যাদি ফসল চাষ করা হয়। আমাদের দেশে এ ধরনের বনায়ন এখন বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

৩. ধারাবাহিক প্রক্রিয়া : আমাদের দেশে ধারাবাহিকভাবে কৃষি চাষ চলে আসছে। এ কৃষির চাষাবাদ পদ্ধতি এখন সনাতন এর পরিবর্তে আধুনিকতায় রূপ নিয়েছে।

৪. সৌরশক্তির ব্যবহার : আমাদের দেশে বর্তমানে সোলার সিস্টেম চালু হওয়ায় 'সৌর শক্তির ব্যবহার ব্যাপক বেড়েছে। এতে ডিজেল বা বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার অনেক কমে গেছে।

৫. ভোগ্য পণ্য : উৎপাদন কৃষি বনায়নের মাধ্যমে ভোগ্য পণ্য উৎপাদন করা যায়। যেমন- বড় বড় গাছের মধ্যে আদা, হলুন চাষাবাদ করা যায়। কারণ এগুলো আধা ছায়াযুক্ত স্থানে ভালো হয় ।

৬. কৃষিভিত্তিক : কৃষি বনায়ন মূলত কৃষিভিত্তিকভাবে চাষাবাদ করা যায়। এ ধরনের বনায়নের মাধ্যমে কৃষি চাষাবাদ ও বনায়ন তৈরি একসাথে করা হয়।

৭. বহুমুখী উদ্দেশ্য : কৃষি বনায়নের কৃষি ও চাষাবাদের সাথে বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে কৃষির গুণগত মান উন্নত করা যায়। কারণ এ ধরনের বনায়ন একদিকে যেমন পরিবেশগত উন্নয়ন করে তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ উন্নয়ন সাধন করে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কৃষি বনায়ন বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কৃষি বনায়ন একটি চাষাবাদ পদ্ধতি, যেখানে কৃষির সাথে বনায়ন গড়ে তোলা হয়। 

আমাদের দেশে যে ধরনের বনায়ন রয়েছে তাও বেশির ভাগই সামাজিক বনায়ন হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে সামাজিক বনায়নের ক্ষেত্র হিসেবে কৃষি বনায়নে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। 

কৃষি বনায়নের মাধ্যমে সমন্বিত চাষ করা যায় বলে এর গুরুত্বও অপরিসীম। তাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে সামাজিক বনায়ন ও কৃষি বনায়ন সৃষ্টির ব্যাপারে । 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ