টেকসই উন্নয়নের কতিপয় সুচক সম্পর্কে আলোচনা কর

টেকসই উন্নয়নের কতিপয় সুচক সম্পর্কে আলোচনা কর
টেকসই উন্নয়নের কতিপয় সুচক সম্পর্কে আলোচনা কর

টেকসই উন্নয়নের কতিপয় সুচক সম্পর্কে আলোচনা কর

  • অথবা, টেকসই উন্নয়নের সূচকসমূহ তুলে ধর।

উত্তর : ভূমিকা : টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রকৃতপক্ষে টেকসই উন্নয়ন অর্জিত হচ্ছে কিনা অর্থাৎ টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়গুলো সুরক্ষিত হওয়ার কথা সেগুলো যথাযথভাবে সুরক্ষিত হচ্ছে কিনা তা যেসব বিষয়সমূহের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় বা বুঝা যায় তাকে টেকসই উন্নয়নের সূচক বলে। 

নিম্নে টেকসই উন্নয়নের কতিপয় সূচক সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. প্রাকৃতিক সম্পদের মজুদ অক্ষুণ্ণ : উন্নয়ন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করলে এর মজুদ হ্রাস পেতে পেতে একসময় নিঃশেষ হয়ে যবে। 

আর তখন প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেমে যাবে। তাই প্রাকৃতিক সম্পদের মজুদ অক্ষুণ্ণ টেকসই উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক ।

২. নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার : অনবায়নযোগ্য সম্পদের ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য সম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধি করা হলে পরিবেশগত ভারসাম্য স্থাপিত হবে। নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার টেকসই উন্নয়নের একটি অন্যতম নির্ধারক।

৩. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত ও সুন্দর হলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করতে হবে যাতে তা পরিবেশের কোনো ক্ষতিসাধন করতে না পারে ।

৪. দূষণ রোধ : টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণ হয়। না বা হলেও তা একটি যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসে। তাই টেকসই উন্নয়ন করার জন্য সকল কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। যাতে পরিবেশ দূষণ রোধ হয়।

৫. বর্জ্য পুনঃব্যবহারকরণ : টেকসই উন্নয়নের ফলে বর্জ্য পুনঃব্যবহার করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর বর্জ্য পুনঃব্যবহার করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় ।

৬. সুষম বণ্টন : প্রাকৃতিক সম্পদ এবং মৌলিক প্রয়োজন পূরণ উপযোগী দ্রব্য ও সেবার সুষম বণ্টন নিশ্চিত না হলে টেকসই উন্নয়ন অর্জিত হবে না। ফলে বিভিন্ন ব্যক্তি, অঞ্চল ও দেশের মধ্যে সম্পদ বণ্টনে বৈষম্য হ্রাস করে সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে ।

৭. মিতব্যয়িতা : সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিতব্যয়িতার নীতি অবলম্বন করতে হবে। এর ফলে সম্পদের অবচয় হ্রাস পেয়ে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয়। এর মাধ্যমে সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষতা তৈরি হবে এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের পথ সুগম হবে।

উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উল্লিখিত সূচকগুলো টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এসব সূচকগুলোর আলোকেই টেকসই উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ