এ ধন যৌবন বড়ায়ি সবঈ অসার ছিড়িগুআঁ পেলাইবোঁ গজমুকুতার হার কে কার বিরহ সহিতে পারে না

এ ধন যৌবন বড়ায়ি সবঈ অসার ছিড়িগুআঁ পেলাইবোঁ গজমুকুতার হার কে  কার বিরহ সহিতে পারে না

অথবা, রাধার নিজের জীবনকে বৃথা বলার কারণ ব্যাখ্যা কর 

এ ধন যৌবন বড়ায়ি সবঈ অসার ছিড়িগুআঁ পেলাইবোঁ গজমুকুতার হার কে  কার বিরহ সহিতে পারে না
এ ধন যৌবন বড়ায়ি সবঈ অসার ছিড়িগুআঁ পেলাইবোঁ গজমুকুতার হার কে  কার বিরহ সহিতে পারে না

উত্তর : কৃষ্ণের অদর্শনে বিরহ বিধুর। রাধা বড়ায়ির শরাণাপন্ন হয়েছে। এখানে রাধা বলছে যে, কৃষ্ণবিহনে তার যৌবন ধন সবই অসার। গজমুকতার হার ছিড়ে ফেলেছে। মুছে ফেলবে তার মাথার সিঁদুর। 

বাহুর বলয় ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ করবে। আপনার দৈব দোষে সে কৃষ্ণকে হারিয়েছে। কেশ মুণ্ডন করে সে সাগরে যাবে। যোগিনী রূপ ধরে দেশান্তরী হবে। কর্মফলে কৃষ্ণ যদি না মিলে তবে রাধা হাতে তুলে বিষ পান করবে। কৃষ্ণের সাথে রাধা রতিক্রিয়া সাধন করতে পারল না। 

তার আঁচলের ধন বিধাতা হরণ করল। এখন বড়ায়িই রাধার একমাত্র ভরসা। কৃষ্ণকে এনে দিয়ে রাধার প্রাণ রক্ষা করতে পারে। মাথায় শম্ভুসম খোঁপা: সিথিতে সিঁদুর, এ দেখে কৃষ্ণ কেন পালিয়ে গেল তা রাধা বুঝতে পারলো না। সে বড়ায়িকে অনুরোধ করে কৃষ্ণকে এনে দিতে। এভাবে কবি বড়ু চণ্ডীদাস রাধার অন্তর্দাহের কথা ব্যক্ত করেছেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ