বেটা যেন পাদরি হয়ে বসেছে।'- কাকে, কেন একথা বলা হয়েছে
বেটা যেন পাদরি হয়ে বসেছে।'- কাকে, কেন একথা বলা হয়েছে
![]() |
| বেটা যেন পাদরি হয়ে বসেছে।'- কাকে, কেন একথা বলা হয়েছে |
উত্তর :স্বরপুর গ্রামের অবস্থাসম্পন্ন কৃষক গোলকবসুর প্রথম পুত্র নবীন মাধব। সে শিক্ষিত, কিন্তু চাকরির জন্যে শহরে যায় নি, কেননা তাদের যথেষ্ট বিষয় সম্পত্তি। সে গ্রামে থেকে বিষয় সম্পত্তির তদারক করে। তাদের গ্রামে নীলকুঠিয়াল স্থাপিত হয়েছে, নীলকরেরা জোর জবরদস্তি করে কৃষকের জমিতে নীল চাষে বাধ্য করে। নীল চাষে অবাধ্য হলে তাদেরকে কুঠিবাড়িতে ধরে নিয়ে নানা ধরনের নির্যাতন চালায়।
নবীন মাধব কৃষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল, কৃষকের বিপদে আপদে সে ছুটে যায়। গত সনে ৫০ বিঘা জমির নীলের দাম সে পায় নি, এবার ৬০ বিঘাতে নীল চাষ করার কথায় নবীন মাধব স্পষ্ট জানিয়েছে যে, বকেয়া না পাওয়া পর্যন্ত এক বিঘাতেও নীল চাষ করবে না।
সে-ই একমাত্র কৃষক যে নীলকরদের অবিচারের প্রতিবাদ করে। সাধুচরণদের দু'ভাইকে ধরে নিয়ে গেলে সে কুঠিবাড়িতে গিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে এনেছে। ক্ষেত্রমণিকে ধরে নিলে সে তোরাপের সহযোগিতায় জানোয়ারদের হাত হতে ক্ষেত্রমণিকে উদ্ধার করেছে।
পলাশপুরে নীলকরদের লোকেরা যে আগুন দিয়েছে তা নবীন মাধবই সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে। সে উকিল মোক্তারদেরকে এমন পরামর্শ দেয় যাতে হাকিমের রায় পর্যন্ত ফিরে যায়। এরই চেষ্টায় সাবেক দেওয়ানের দু'বছর জেল হয়।
গরিব প্রজাদের রক্ষা করাই তার ব্রত। নীলকরদের অত্যাচার হতে একজন কৃষককে রক্ষা করতে পারাকে সে ধন্য মনে করে। সে যেমন সাধারণ কৃষকের আশ্রয়দাতা, তেমনি নীলকরদের কাছে আতঙ্ক। অন্যের উপকারের কারণেই সে নীলকরদের কোপানলে পড়েছে।
