ঘসেটি বেগমের প্রাসাদে নবাব বিরোধী ষড়যন্ত্রের স্বরূপ তুলে ধর।
ঘসেটি বেগমের প্রাসাদে নবাব বিরোধী ষড়যন্ত্রের স্বরূপ তুলে ধর।
![]() |
| ঘসেটি বেগমের প্রাসাদে নবাব বিরোধী ষড়যন্ত্রের স্বরূপ তুলে ধর। |
উত্তর তরুণ আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসনে বসায় তার আত্মীয় ও অমাত্যবর্গের স্বার্থ নষ্ট হচ্ছে, তাই সিরাজকে সবাই মিলে সিংহাসনচ্যুত করতে চায়। সিরাজের বড় খালা ঘসেটি বেগমের প্রাসাদে গোপনীয় ষড়যন্ত্রের জন্য সবাই সমবেত হয়েছে।
সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করে শওকতজঙ্গকে সিংহাসনে বসাতে চায় রায় দুর্লভ, উমিচাঁদ, জগৎশেঠ, ঘসেটি বেগম- সবাই একমত। প্রধান সেনাপতি মীরজাফর মন্ত্রণাসভায় আসতে না পারলেও সে ঘসেটি বেগমকে লেখা পত্রে শওকতজঙ্গকে সমর্থন দিয়েছে এবং অবিলম্বে সিরাজের বিরুদ্ধে শওকতজঙ্গকে যুদ্ধে যাত্রার পরামর্শ দিয়েছে।
তাদের ষড়যন্ত্রের মূল কথা প্রকাশ পেয়েছে উমিচাঁদের মুখ দিয়ে। উমিচাঁদ মীরজাফরের সিদ্ধান্তের সাথে ঐকমত্য পোষণ করে জানায় যে ইংরেজরাও সিরাজের পতনে সংঘবদ্ধ ও সোচ্চার। শওকতজঙ্গ এক্ষুণি আঘাত হানলে ইংরেজের সহযোগিতা পাবে। নিঃসন্দেহে, জয় তাদের অনিবার্য। এভাবেই নবাব সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করতে ভেতর-বাইরে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তৃত হয়েছে।
