কৌটা খুলি, রক্ষোবধূ যত্নে দিলা ফোঁটা সীমন্তে - ব্যাখ্যা কর
কৌটা খুলি, রক্ষোবধূ যত্নে দিলা ফোঁটা সীমন্তে - ব্যাখ্যা কর।
![]() |
| কৌটা খুলি, রক্ষোবধূ যত্নে দিলা ফোঁটা সীমন্তে - ব্যাখ্যা কর |
উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে লঙ্কারাজ রাবণ তার বোনের অপমানের প্রতিশোধার্থে সীতাকে পঞ্চবটী বন থেকে ধরে এনে বন্দী করে রাখে অশোক বনে। রাম-লক্ষ্মণ সীতা উদ্ধারে গিয়ে রাবণ সৈন্যের সাথে যুদ্ধ করে। এতে রাবণপুত্র বীরবাহু মারা যায়।
এবার যুদ্ধে যাবে মেঘনাদ, তাই অভিষেক হচ্ছে। সবাই ব্যস্ত। ইত্যবসরে বিভীষণের স্ত্রী সরমা সঙ্গোপনে সীতার কাছে যায়। নারীসুলভ কোমলতা ও সমবেদনার বশবর্তী সরমা সীতার লাঞ্ছনায় প্রতিনিয়ত মনঃপীড়ায় কাটাচ্ছিল। সীতার চরণতলে এসে কোন বাক্যালাপ না করেই সরমা অঝোরে কেঁদেছে।
আদর্শ বঙ্গনারী সরমা এয়ো সীতার ললাটে সিঁদুর পরিয়ে দেবে বলে সে গোপনে সিঁদুর কৌটা নিয়ে এসেছিল। সিঁদুরশূন্য সীতার সীমন্ত দেখে তার বুক হু হু করে ওঠে। তাই সীতার অনুমতি নিয়েই কৌটা খুলে সে সীতার ললাটে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। সীতার ললাটে সরমার দেয়া
সিঁদুরের ফোঁটা সন্ধ্যাকাশের তারার মত জ্বলজ্বল করে ওঠে। ফোঁটা দিয়ে সরমা সীতা দেবীর পদধূলি গ্রহণ করে। এই দুই মহীয়সী নারীর মিলন মুহূর্তে আমরা দরদী বাঙালি কবির পরিচয় পাই ।
