দীপশিখা থাকে এক ঠাঁই, দীপালোক যায় বহুদূরে রাজ ইচ্ছা যেথা যাবে সেথা যাব মোরা তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর
দীপশিখা থাকে এক ঠাঁই, দীপালোক যায় বহুদূরে রাজ ইচ্ছা যেথা যাবে সেথা যাব মোরা তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর
![]() |
| দীপশিখা থাকে এক ঠাঁই, দীপালোক যায় বহুদূরে রাজ ইচ্ছা যেথা যাবে সেথা যাব মোরা তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর |
উত্তর :রাজর্ষি গোবিন্দমাণিক্য তার ত্রিপুরা রাজ্যে দীর্ঘদিনের অমানবিক বলি প্রথা বন্ধ ঘোষণা করে। তার নির্দেশ কার্যকরী করার জন্য সেনাপতি নয়ন রায়কে রাজা নির্দেশ দেয় যে, সে যেন সৈন্য নিয়ে মন্দির দোরে পাহারারত থাকে এবং কেউ যেন পশু বলি দিতে না পারে।
প্রথাধর্মে বিশ্বাসী সেনাপতি নয়ন রায় রাজ প্রদত্ত এ দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানায়। কারণ সে মনে করে যে, সে রাজার ভৃত্য, কিন্তু মন্দিরে রাজার আদেশ অচল। অন্যত্র যতদূর রাজ আদেশ পৌঁছায় ততদূর রাজভৃত্য হিসেবে সে রাজাদেশ পালনে বাধ্য, কিন্তু যেহেতু মন্দিরে রাজাদেশ অচল, তাই সেও অক্ষম।
তখন দেওয়ান চাঁদপাল সেনাপতিকে বলেছে যে, যেহেতু তারা রাজ কর্মচারী ফলে রাজ ইচ্ছা যে পর্যন্ত যাবে তারাও সে পর্যন্ত যেতে বাধ্য। কারণ দীপশিখা একস্থানে থাকলেও তার আলো বহুদূরকে আলোকিত করে। তেমনি রাজার এ মানবিক নির্দেশ আলোর মত সর্ব রাজ্যময় পৌঁছে যায় এবং তারাও এ আদেশ পালনে বাধ্য থাকবে।
