জীবনাধার পুত্র শোকে জননী সেইরূপ ধরাশায়িনী হইয়া আছেন কেন আলোচনা কর
জীবনাধার পুত্র শোকে জননী সেইরূপ ধরাশায়িনী হইয়া আছেন কেন আলোচনা কর
![]() |
| জীবনাধার পুত্র শোকে জননী সেইরূপ ধরাশায়িনী হইয়া আছেন কেন আলোচনা কর |
উত্তর: অত্যাচারী নীলকরদের আতঙ্ক হচ্ছে নবীন মাধব। নবীন মাধব পরোপকারী, সে কৃষকদের আপদে-বিপদে কাছে দাঁড়ায়, এক কথায় কৃষকদের দেবতা। নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধাচরণ করায় নীলকরেরা তার নিরীহ পিতাকে কারাবন্দী করে, সেখানে গোলকবসু আত্মহত্যা করে।
নবীনমাধবের মা স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে পাঁচ দিন হয়ে গেল অন্ন জল মুখে নেয় না। নবীন মাধব তার স্নেহের ধন। মা অভুক্তা তাই নবীন মাধব কেঁদে কেঁদে মাকে খাওয়ার অনুরোধ করে। ছেলের চোখের জল সহ্য করতে না পেরে মা অন্নগ্রহণ করবে বলে ছেলে নবীন মাধবকে কথা দেয়।
নীলকরেরা তাদের পুকুর পাড়ে নীলচাষ করবে, নবীন মাধব নীলকরদেরকে পুকুর পাড় নীল চাষ যাতে না করে সে জন্য পায়ে ধরে অনুরোধ করতে গেলে নবীন মাধবকে যাচ্ছেতাই বলেছে। নবীন ক্ষীপ্ত হয়ে নীলকরের বুকে লাথি মারে, নীলকরের লাঠিয়ালরা নবীন মাধবকে খুব মার মেরেছে, তোরাপ বহু কষ্টে নবীনমাধবের প্রায় মৃত দেহ উদ্ধার করে এনেছে।
স্বামীর মৃত্যুতে শোকাহতা সাবিত্রীর সামনে মৃতবৎ পুত্র নবীন মাধবকে নিয়ে এলে মা সাবিত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পুত্রবধূ সৈরিন্ধ্রী অচেতন স্বামীকে চেতন করতে বহু কথা বলেছে।অতঃপর মা-এর কথাও বলেছে। কোন গাভীর বৎস হারালে গাভা মাতা হাম্বারবে বৎসকে খুঁজে ফেরার সময় সর্পদংশ
নে যেমন ভূপাতিত হয় তেমনি জীবনের চেয়ে প্রিয় পুত্র শোকে মা সাবিত্রী ধরাশায়ী হয়ে আছে। 'নীল দর্পণ' নাটকে এ দৃশ্য সত্যি বেদনাদীর্ণ ।
