কালকেতু উপাখ্যান অবলম্বনে গুজরাট নগরের বর্ণনা দাও
কালকেতু উপাখ্যান অবলম্বনে গুজরাট নগরের বর্ণনা দাও ৷
![]() |
৭১৭
বন কেটে পরিষ্কার করা হলে সেখানে বড় বড় ইমারত, বিভিন্ন ধরনের ঘরবাড়ি, হাট- বাজার ইত্যাদি গড়ে তোলে।
করাতে পাথর কাটি
নিরমিল দ্বারকা
প্রাচীরের পরিপাটি
সমান ।
দুর্গামেলার স্থান, পাঠশালা, মন্দির, মসজিদ ইত্যাদি গড়ে তোলা হয়। কাঠ এনে ইটের পাজা পোড়ানো হয়।
রন্ধনশালা, অতিথিশালা ইত্যাদি।
দ্বারকা সমান পুরী বিশাই নির্মাণ করি
পুরস্কারে রচিল কপাট।
গুজরাট নগর পত্তন হলো বটে, কিন্তু নিম্নবিত্ত 'কালকেতুর কথায় কেউ সেখানে বসতি গড়বে? তাই দেবী কলিঙ্গদেশে প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টির সৃষ্টি করে সেখানকার প্রচুর আবাস স্থল ভেঙ্গে দেবার ব্যবস্থা করে। ফলে কলিঙ্গ থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর ও পেশাজীবী মানুষ ওঠে এসে গুজরাটে বসতি স্থাপন করে। তার মধ্যে মুসলমান, ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য প্রভৃতি শ্রেণীর মানুষ। মুসলমানেরা গুজরাট নগরের পশ্চিম প্রান্তে বসবাস করে।