ম্যারে ক্যান ফ্যালায় না মুই নেমোখ্যারামি কত্তি পারবো না কে, কাকে, কেন এ কথা বলেছে
ম্যারে ক্যান ফ্যালায় না মুই নেমোখ্যারামি কত্তি পারবো না কে, কাকে, কেন এ কথা বলেছে
![]() |
| ম্যারে ক্যান ফ্যালায় না মুই নেমোখ্যারামি কত্তি পারবো না কে, কাকে, কেন এ কথা বলেছে |
উত্তর: বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মত স্বরপুর গ্রামেও নীলকুঠি স্থাপিত হয়েছে। এ জুনপদের কৃষকদেরকে জোর জবরদস্তি করে দাদন গ্রহণ ও নীল চাষে বাধ্য করছে নীলকরেরা। নীলকরদের যথেচ্ছ আচরণের প্রতিবাদ করবার মত কেউ নেই।
কিন্তু স্বরপুর গ্রামের সম্পন্ন কৃষক গোলকবসুর বড় ছেলে নবীন মাধব নীলকরদের অবিচারের মুখে প্রতিবাদ করে, সে গ্রামের সাধারণ কৃষকদেরকে মনেপ্রাণে ভালবাসে, তাদের যে কোন সমস্যায়, বিপদে-আপদে নবীন মাধব বুক পেতে দেয়। গত সনের নীলের পাওনা না চুকিয়ে দিলে আর নীলের জমিতে চাষ দেবে না, তা নবীন মাধব নীলকরকে জানিয়েছে।
পলাশপুরে কুঠিয়ালের লোকজন আগুন দেওয়ার ব্যাপারটি নবীন মাধবের কারণেই ফাঁস হয়েছে। নীলকরদের প্রধান শত্রু নবীন মাধব। তাই তাকে জব্দ করতে তারই বাবা নিরীহ গোলকবসুর নামে মিথ্যে মামলা দিয়েছে। কুঠিয়ালরা তোরাপসহ পাঁচজন কৃষককে বেগুনবেড়ে কুঠির গুদামঘরে আটকে রেখে তাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে,
নীলকরের কথা হচ্ছে এদেরকে দিয়ে গোলকবসুর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়াবে। মুসলমান কৃষক তোরাপ। সে জানে যে নবীনমাধবের কারণেই এখনো নীলকরেরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে না, নবীন মাধব গ্রামে আছে বলে এখনো কৃষকেরা গায়ে বাস করতে পারছে। সেই পরোপকারী নিঃস্বার্থ নবীনমাধবের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যে সাক্ষী তোরাপ দেবে না।
সে জানে সে জন্য নীলকর তাদের বুটের নিচের প্যারেক দিয়ে তাকে পাড়িয়ে রক্তাক্ত করবে, তোরাপের জীবন পর্যন্ত পণ, কিন্তু সে মিথ্যে সাক্ষী দেবে না। মূলত তোরাপের কৃতজ্ঞতাবোধ ও দেশবাসীর প্রতি প্রেম এখানে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
