আজ নবাবকে ডোবাচ্ছেন কাল আমাদের পথে বসাবেন না তা কি বিশ্বাস করা যায় কাদের ওপর কার এ অবিশ্বাস কেন
আজ নবাবকে ডোবাচ্ছেন কাল আমাদের পথে বসাবেন না তা কি বিশ্বাস করা যায় কাদের ওপর কার এ অবিশ্বাস কেন
![]() |
| আজ নবাবকে ডোবাচ্ছেন কাল আমাদের পথে বসাবেন না তা কি বিশ্বাস করা যায় কাদের ওপর কার এ অবিশ্বাস কেন |
উত্তর: আলিবর্দীর মানসপুত্র নবাব সিরাজউদ্দৌলা সৎ, দেশপ্রেমিক ও প্রজাবৎসল। তার সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও জনহৈতিষীর কারণে নবাবের স্বার্থপর লোভী পারিষদবর্গের স্বার্থ নষ্ট হয়, তাই নবাব তাদের দু'চোখের বিষ। পক্ষান্তরে সিরাজের আমলে ইংরেজ কোম্পানি স্বাধীন ও স্বেচ্ছাচারিতায় বাধাগ্রস্ত।
তাই ইংরেজ ও নবাবের পারিষদ মিলে নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। নবাবের প্রজার ওপর অকথ্য নির্যাতন করায় পারিষদের সামনে নবাব কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসকে অপমান করে পারিষদকেও ধমকে দিয়েছে। নবাব বিরোধীরা অগ্নিশর্মা। বিশ্বাসঘাতক মীরজাফরের পুত্র মীরনের বাসগৃহে ষড়যন্ত্র সভা বসেছে।
সেখানে মীরজাফর, রায় দুর্লভ, উমিচাঁদ, জগৎশেঠ প্রমুখ নবাব পারিষদ রয়েছে। তন্মধ্যে নারীর ছদ্মবেশে ষড়যন্ত্র সভায় যোগ দিয়েছে ওয়াটস এবং কর্নেল ক্লাইভ। ক্লাইভ মনে করে যে, সিরাজ তার পারিষদ বর্গের ষড়যন্ত্রের শিকার। সিরাজ ব্রিটিশদের প্রতিপক্ষ, তাই বলা চলে ইংরেজরা সুবিধাজনক অবস্থাতেই আছে।
ক্লাইভের মতে সিরাজ এখন শক্তিশূন্য, হীনবল, কেননা যে নবাবের প্রধান অমাত্যবর্গ বিশ্বাসঘাতক, বেঈমান ও ষড়যন্ত্রকারী সে নবাব শক্তিহীন তো বটেই। তাই নবাবকে ক্লাইভ আদৌ ভয় পায় না, তবে ক্লাইভের ভয় হচ্ছে নবাবের পারিষদকে নিয়ে। কেননা, তারা নবাবের বিরুদ্ধেই যখন ষড়যন্ত্র করতে পারে, তখন ক্লাইভের সাথেও যে তেমন আচরণ করবে না, তার নিশ্চয়তা 3. তখন क्रাইডে কী?
তাই ক্লাইভের সন্দেহ যে, সিরাজের অনুগ্রহভাজন পারিষদ যারা আজ সিরাজের পতনকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলছে, সময়ে তারাই আবার যে বেঈমানি করে কোম্পানির লোকদের পথে বসাতে পিছপা হবে না, তার বা নিশ্চয়তা কোথায়? কেননা, স্বার্থান্বেষী বেঈমানদের ধর্মই হচ্ছে বেঈমানি করা।
স্বার্থে আঘাত হলেই তাদের বিশ্বাস খান খান হয়ে পড়বে। তাই ধূর্ত ক্লাইভ সিরাজের বেঈমান অমাত্যবর্গের হাতে হাত মিলালেও তাদের ওপর সম্পূর্ণ আস্থাভাজন নয় । ক্লাইভের এ কথায় মূলত নবাবের বেঈমান পারিষদকে ক্লাইভ সুকৌশলে
.png)