ও সাহেব তুমি মোর বাবা' কে, কোন ঘটনায় এ কথা বলেছে

ও সাহেব তুমি মোর বাবা' কে, কোন ঘটনায় এ কথা বলেছে


ও সাহেব তুমি মোর বাবা' কে, কোন ঘটনায় এ কথা বলেছে
ও সাহেব তুমি মোর বাবা' কে, কোন ঘটনায় এ কথা বলেছে

উত্তর: নীলকরেরা কেবল কৃষকের উপর অত্যাচারই করে নি, তাদের লাম্পট্যের শিকার হয়েছে এ দেশের শত সহস্র নারী যুবতী বধূ। কৃষক সাধুচরণের মেয়ে ক্ষেত্রমণি সদ্য বিবাহিতা। সে অন্তঃসত্ত্বা। সে বাবার বাড়ি এসেছে সাধ ভঞ্জনের উদ্দেশ্যে।

 লম্পট নীলকর রোগের লোভাতুর দৃষ্টি পড়েছে তার উপর। রোগ তার লাম্পট্যের সহযোগী পদী ময়রানীকে লেলিয়ে দিয়ে যখন কোন ফল হয় নি, তখন কৌশলে লাঠিয়াল দিয়ে ক্ষেত্রমণিকে ধরে আনা হয়েছে। পদী ময়রানীর প্রস্তাব শুনে ক্ষেত্রমণি ভীতা ও বিস্মিতা, কারণ সে প্রাণ দিতে পারলেও ধর্ম দিতে পারবে না। সে জীবন থাকতে অন্য পুরুষ স্পর্শ করতে পারবে না।

 কিন্তু রোগের লোলজিহ্বা ক্ষেত্রমণিকে ভক্ষণ না করে তৃপ্তি পাবে না। তাই পদীকে সরিয়ে দিয়ে রোগ তাকে ভোগে উদ্যত হয়। নিরুপায় ক্ষেত্রমণি তার সতীত্ব ও সম্ভ্রম বাঁচাতে রোগকে ধর্মের বাবা বলে তার থাবা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে প্রয়াস পেয়েছে।

 কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। ক্ষেত্রমণি রোগকে জানিয়েছে যে, তার গর্ভে সন্তান। কিন্তু রোগ ক্ষেত্রমণির কোন দোহাই শোনে নি। ক্ষেত্রমণিকে সে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করতে চেয়েছে, ক্ষেত্রমণি নিজেকে রোগের মা বলে দোহাই দিয়েছে, কিন্তু দোহাই, অনুরোধ, কাকুতি, কান্না সবই লম্পটের কাছে অর্থহীন হয়ে রইল।

 ক্ষেত্র তার সম্ভ্রম নষ্ট করার আগে তাকে হত্যা করে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছে কিন্তু নরপশু মাংসভোজী হায়নার কাছ থেকে নিষ্পাপ ক্ষেত্রমণি রক্ষা পায় নি ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ