ঊর্ধ্বে নাই, নিম্নে নাই, কোথাও সে নাই কোথাও সে ছিল না কখনো কে কার সম্পর্কে কখন এ কথা বলেছে
ঊর্ধ্বে নাই, নিম্নে নাই, কোথাও সে নাই কোথাও সে ছিল না কখনো কে কার সম্পর্কে কখন এ কথা বলেছে
![]() |
| ঊর্ধ্বে নাই, নিম্নে নাই, কোথাও সে নাই কোথাও সে ছিল না কখনো কে কার সম্পর্কে কখন এ কথা বলেছে |
উত্তর :'বিসর্জন' নাটকে প্রথাধর্মের পক্ষে, দেবীর রক্ষক। প্রতি বছরই দেবীর পা জীব - রক্তে স্নান করিয়ে সে তার স্বার্থ উদ্ধার করে, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখে। অপর্ণার ছাগশিশু হত্যায় অপর্ণা রাজার কাছে আবেদন জানালে রাজা তার রাজ্যে বলি বন্ধ ঘোষণা করে। ক্ষোভে দুঃখে অপমানে রঘুপতি রাজা গোবিন্দমাণিক্যকে হত্যা করতে চায়। সে তার শিষ্য জয়সিংহকে মিথ্যা বলে। সে বলে যে দেবী রাজরক্ত চায়।
গুরুর ঋণ শোধ করতে গিয়ে জয়সিংহ প্রতিজ্ঞা করে যে শ্রাবণের শেষ রাতে রাজরক্ত এনে দেবে। রঘুপতি মনে করেছিল জয়ুসিংহ গোবিন্দমাণিক্যকে হত্যা করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল জয়সিংহ নিজের শরীরে রাজরক্ত তাই সে নিজের বুকে ছুরি বসিয়ে দেবীর পা ধুইয়ে দেয়। সন্তানতুল্য জয়সিংহকে হারিয়ে রঘুপতির বোধোদয় হয়, সে বুঝতে পারে সন্তান হারানোর ব্যথা। এতদিনকার সব গর্ব দর্প তার চূর্ণ হয়। সে দেবী মূর্তিকে জলে নিক্ষেপ করে।
রানী গুণবতীসন্তান প্রত্যাশায় দেবী মন্দিরে পূজা দিতে এসে দেখে দেবী নেই। রানী রঘুপতিকে জিজ্ঞেস করায় রঘুপতি বলেছে যে, দেবী কোনদিন কোথাও ছিল না, আজও নেই। রঘুপতির এই ভাবান্তরের মধ্য দিয়ে যেমন রক্তপাত বন্ধ হল, তেমনি সত্যটাই উচ্চারিত হয়েছে।
