রাইচরণ চরিত্রটি সংক্ষেপে আলোচনা কর
রাইচরণ চরিত্রটি সংক্ষেপে আলোচনা কর
![]() |
| রাইচরণ চরিত্রটি সংক্ষেপে আলোচনা কর |
উত্তর :দরিদ্র কৃষক রাইচরণ নিম্নবিত্ত চরিত্রগুলোর মধ্যে সর্বৈব শ্রেষ্ঠ। রাইচরণই ‘নীল দর্পণ' নাটকের একমাত্র কৃষক যাকে প্রত্যক্ষ জমি চাষ করতে দেখা যায়।
জমির স্বার্থে আঘাত লাগলে সে ক্রোধে আত্মহারা হয়ে যায়, তার মুখের সহজাত ভাষায় সে ক্রোধ প্রকাশ পায়, ক্রোধ প্রবল হলেও, আত্মরক্ষার জৈবধর্মও সে স্বাভাবিকভাবেই পালন করতে অভ্যস্ত।
সেই সূত্রে তার অন্তরে একটু ভাতুড়ে স্পর্শ লেগেছে। সে গায়ের শক্তিতে বুনো মোষ, অন্তরে শিশুর মত ভীরু 1
চরিত্রটির দেহে অবাস্তব ভাব ও আদর্শের কোন ছোঁয়াচ লাগে নি। সে অত্যন্ত একগুয়ে প্রকৃতির। তার সাহস অপরিমেয়, তবে তা দুঃসাহসের পর্যায়ভুক্ত নয়। রাইচরণের তেজ অপরিমিত হলেও তা একটু বাহ্যিক ভীরুতা দ্বারা প্রচ্ছন্ন।
তার চোখের সামনে নীলকরের আমিন যখন তার সাঁপোলতলার জমিতে দাগ মেরে গেলে, তখন সে অন্তরের ক্রোধ অন্তরের মধ্যে চেপে রেখেছে। মাত্র আইনের আশ্রয় নেবে বলে আমিনকে শাসিয়েছে তারপর বাড়ি এসে অগ্রজ সাধুচরণের কাছে তা প্রকাশ করেছে।
তার সংলাপও চরিত্রানুগ- “রাই ঃ মুই বলবো কি, জমিতি দাগ মারতি নাগলো, মোর মোর বুকি য্যান বিদেকাটি পুড়তে দিতি নাগলো।” রাইচরণের চরিত্র সাধারণ কৃষক চরিত্রানুগ।
নাটকে বাকি চারজন কৃষকের চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য লেখক ক্ষুদ্র পরিসরে তুলে এনেছেন। এর মধ্য দিয়ে বিচিত্র লোক চরিত্রে লেখকের গভীর জ্ঞানের পরিচয় মেলে।
