মেঘনাদ, মরে পুত্র জনকের পাপে। - ব্যাখ্যা কর
মেঘনাদ, মরে পুত্র জনকের পাপে। - ব্যাখ্যা কর।
![]() |
| মেঘনাদ, মরে পুত্র জনকের পাপে। - ব্যাখ্যা কর। |
উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে পঞ্চবটী বন থেকে রাবণ রাঘব কুলবধূ সীতা দেবীকে অপহরণ করে লঙ্কায় অশোকবনে গৃহবন্দি করে রেখেছে। রাম-লক্ষ্মণ সীতাকে উদ্ধারের জন্য লঙ্কায় এসেছে।
দেবতাদের সহযোগিতায় ও আশীর্বাদে লঙ্কার রক্ষাকবচ দুর্লঙ্ঘ সমুদ্রকে তারা বেঁধে ফেলেছে, বিশাল হনুমান বাহিনী রামদের সহায়, অন্য সাহায্যকারী রাবণেরই ভাই বিভীষণ।
যুদ্ধের প্রথম পর্বেই রাঘবদের হাতে লাখ লাখ লঙ্কান সৈনিক যেমন জীবন দিয়েছে, তেমনি জীবন দিয়েছে রাবণের পুত্র বীরবাহু। এ সংবাদ পেয়ে ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধে আসবে।
যে লক্ষ্মণকে বার বার মেরেছে, ইন্দ্রজিৎ দেবতাদেরও ত্রাস। তাই রামের বুক কেঁপে ওঠে। কিন্তু লক্ষ্মণ রামকে এই বলে সান্ত্বনা দেয় যে, এ যুদ্ধে দেবতারা তাদের সহায়। দেবতারা স্বর্গ থেকে বিশেষ অস্ত্র পর্যন্ত প্রদান করেছে। লক্ষ্মণ কেন রাক্ষসদের ভয় পাবে। তাছাড়া রাম-লক্ষ্মণ দেবতাদের সম্মান করে, ধর্মে তাদের পূর্ণ আস্থা।
ফলে রাবণ সীতাকে ধরে এনে যে অধর্ম করেছে, তাতে তার ধ্বংস অনিবার্য। কারণ অধর্ম কখনও পৃথিবীতে জয়ী হতে পারে না, ধর্মেরই জয় হয়। পিতা রাবণের পাপেই এ যুদ্ধে মেঘনাদ দুর্বল হয়ে পড়বে, পিতার পাপেই পুত্র মৃত্যুবরণ করবে। কালই লঙ্কার রবি অস্তাচলে যাবে অর্থাৎ লক্ষ্মণ মেঘনাদকে বধ করবে। লক্ষ্মণের এই উক্তির মধ্যে ধার্মিকের শক্তি উচ্চারিত হয়েছে।
.png)