সাধুচরণের প্রস্তাবে গোলকবসু রাজি হয় নি কেন
সাধুচরণের প্রস্তাবে গোলকবসু রাজি হয় নি কেন
![]() |
| সাধুচরণের প্রস্তাবে গোলকবসু রাজি হয় নি কেন |
উত্তর: স্বরপুর গ্রামের গোলকবসু সম্পন্ন কৃষক। তার বড় ছেলে নবীন মাধব সংসার দেখাশোনা করে। ছোট ছেলে বিন্দু মাধব কলকাতায় পড়াশোনা করে। স্ত্রী দুই পুত্রবধূসহ গ্রামে তারা যথেষ্ট সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে কালাতিপাত করছে। বাংলার মাটি নীল চাষের উপযোগী এবং নীল খুব লাভজনক ব্যবসা বলে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে নীলকুঠি স্থাপিত হয়। কৃষকদেরকে কুঠিয়ালরা জোর করে নীল চাষে বাধ্য করে।
নীলকরদের অত্যাচারে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে। গোলকবসুর প্রতিবেশী কৃষক সাধুচরণ অবস্থা বেগতিক দেখে গোলকবসুকেও গ্রাম ছাড়তে পরামর্শ দিয়েছিল। সাধুচরণ বা অন্যান্য দরিদ্র কৃষকেরা সহজে বাস তুলে যেতে পারলেও গোলকবসুর পক্ষে তা সম্ভব নয়।
কেননা এ গ্রামে গোলকবসুর সাতপুরুষের বাস। পূর্বপুরুষেরা যে জমিজমা রেখে গেছে, তাতে কখনো তাদেরকে চাকরির কথা ভাবতে হয় না। নিজ জমি থেকে ধান, তেল, ডাল, গুড়, তরবারি এবং নিজ পুকুরের মাছ দিয়ে তার সারাবছর সুন্দরভাবে চলে যায়, উপরন্তু কিছু বিক্রিও করতে পারে। সে সাধারণ কৃষকের মত বাতাসে উড়ে চলা শুকনো পাতা নয়, সে শিকড় গাড়া বৃক্ষ । তাই সুখের বাস তোলা তার জন্য সত্যি কষ্টসাধ্য।
