শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে যে কুসংস্কারের আভাস পাওয়া যায় তার বর্ণনা দাও
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে যে কুসংস্কারের আভাস পাওয়া যায় তার বর্ণনা দাও
অথবা, কৃষ্ণের গালমন্দকে রাধা কেন নিজের ভাগ্যকে দায়ী করে? আলোচনা করে বুঝিয়ে দাও
![]() |
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে যে কুসংস্কারের আভাস পাওয়া যায় তার বর্ণনা দাও |
উত্তর : কৃষ্ণের ধারণা তার মোহন বাঁশিটি রাধাই চুরি করেছে। তাই পসরা নিয়ে রাধা যখন মথুরা নগরে যাচ্ছিল তখন কৃষ্ণ পথে রাধার আঁচল টেনে ধরে অকথ্য ভাষায় তাকে গালমন্দ করে। কৃষ্ণের গালমন্দ শুনে রাধা অপমান বোধ করে।
সে আগেই জানত যে, আজ তার ভাগ্যে মন্দ কিছু ঘটবে। কারণ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সে নানারকম অশুভ ইঙ্গিত আর সংকেতের মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু সে সতর্ক হয়নি। ফলে সে কৃষ্ণের এই অপমানের মুখোমুখি হয়েছে। রাধা বলছে, সে কোনো অশুভ ক্ষণে পা বাড়িয়েছে। হাঁচি, টিকটিকির ডাক কিছুই মানেনি। শূন্য কলসী কাঁধে নিয়ে সখীর আগে চলেছে।
বাঁয়ের শিয়াল রাধার ডান দিক দিয়ে গেছে। পথে সে ব্যাধ দেখেছে। হাতে খাপর নিয়ে যোগিনী ভিক্ষা মাগছে । তেলী কাঁধে ভাড় নিয়ে আগে আগে যাচ্ছে, আর শুকনা ডালে বসে কাক ডাকছে- এসব অলক্ষণ দেখেও সে সতর্ক হয়নি বলেই আজ তার ভাগ্যে এই মন্দ গাল জুটেছে। মধ্যযুগের মানুষেরা এসব কুসংস্কার মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো ।