বংশী খণ্ড অবলম্বনে কৃষ্ণের বাঁশির মোহনী সুরের বর্ণনা দাও

বংশী খণ্ড অবলম্বনে কৃষ্ণের বাঁশির মোহনী সুরের বর্ণনা দাও

অথবা, কৃষ্ণের বাঁশির মোহনী শক্তি কীভাবে রাধাকে মুগ্ধ করেছিল তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

বংশী খণ্ড অবলম্বনে কৃষ্ণের বাঁশির মোহনী সুরের বর্ণনা দাও
বংশী খণ্ড অবলম্বনে কৃষ্ণের বাঁশির মোহনী সুরের বর্ণনা দাও

উত্তর : সখী পরিবৃতা রাধাকে আকৃষ্ট করার জন্য কৃষ্ণ তার পাগল করা মনকাড়া বাঁশিতে সুর তোলে। কৃষ্ণের বাঁশির সুরে এমন এক মোহিনী শক্তি বিদ্যমান— যেন এই সুর শুনে সমস্ত জগৎ মোহমুগ্ধ হয়। যে বাঁশির সুরে জগৎ মুগ্ধ হয় সেই বাঁশিতে রাধা মুগ্ধ না হয়ে পারে না। 

কৃষ্ণের বাঁশির সুর যখন রাধার কানে প্রবেশ করে তখনই তার মন চঞ্চল হয়ে ওঠে। তাঁর দেহ মন হৃদয় এতই ব্যাকুল এবং উতলা হয়ে উঠে যে, রান্নার কাজে তার আর কিছুতেই মন বসে না। হৃদয়ঘটিত এই দুর্দশার কথা রাধা বড়ায়িকে বলে এবং তাকে জিজ্ঞাস করে কালিন্দী নদীকূলে কে এমন মোহন বাঁশি বাজায়। 

সেই বাঁশির সুরে তার শরীর আকুল আর মন ব্যাকুল হয়। যে এই মোহন বাঁশি বাজায় তার পায়ে নিজেকে সঁপে দিয়ে রাধা তার দাসী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বড়ায়ির কাছে।

উপর্যুক্ত আলোচনার পরিশেষে একথাই বলা যায় যে, বাঁশির সুরে রাধা তার দৈনন্দিন জীবনের বাহ্যিক চেতনা যেন হারিয়ে ফেলেছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ