“সঁপি রাজ্যভার, পুত্র, তোমায় করিব মহাযাত্রা।”ব্যাখ্যা কর।
“সঁপি রাজ্যভার, পুত্র, তোমায় করিব মহাযাত্রা।”ব্যাখ্যা কর।
![]() |
| “সঁপি রাজ্যভার, পুত্র, তোমায় করিব মহাযাত্রা।”ব্যাখ্যা কর। |
উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে রক্ষঃকুলরাজ রাবণ। বিশাল“সঁপি রাজ্যভার, পুত্র, তোমায় করিব মহাযাত্রা।”ব্যাখ্যা কর। তার শক্তি। বোনের অপমানের প্রতিশোধে সীতাকে হরণ করার পর রাঘবদের সাথে তার যুদ্ধ শুরু হয়।
প্রথমেই লঙ্কার লাখো প্রাণের সাথে সে তার পুত্র বীরবাহুকে হারায়। অতঃপর ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদ যুদ্ধে গেলে রাঘবেরা পরাজিত হবেই এ বিশ্বাস রাবণের আছে।
কিন্তু বিভীষণের সহায়তায় লক্ষ্মণ যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে কাপুরুষের মত নিরস্ত্র মেঘনাদকে বধ করে। সেই থেকে রাবণ বিপর্যস্ত। তার সব আশা-আকাঙ্ক্ষা ভেঙে চুরমার।
মানব মৃত্যুর নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। তবুও সাধারণ হিসেবে পুত্রের আগে পিতা মারা যায়, তাতে যেমন শোক হয় না। পিতা তার অসম্পন্ন কর্মের দায়িত্ব পুত্রকে দিয়ে যেতে পারে।
কিন্তু দুর্ভাগ্য রাবণের। তার ইচ্ছে ছিল পুত্র মেঘনাদের উপর সব ভার অর্পণ করে রাবণ শান্তিতে চোখ বুজবে। কিন্তু ফললো উল্টো। মেঘনাদই পিতামাতার চোখের সামনে চলে গেল।
পিতার কাঁধে পুত্রের শব— এর চেয়ে বেদনার কিছু পৃথিবীতে নেই। মৃত মেঘনাদের মুখ দেখে পিতা রাবণের সেই বেদনা বেজেছে। পুত্রের হাতে সব দায়িত্ব অর্পণ করে তার আর বিদায় নেয়া হলো না, বরং সহস্তে পুত্রের শব তাকে দাহন করতে হবে। তাই সে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।
.png)