আমার এতদিনের ভুল সংশোধন করার এই শেষ সুযোগ আমাকে নিতে হবে কে কেন কী সুযোগ নিতে চায়

আমার এতদিনের ভুল সংশোধন করার এই শেষ সুযোগ আমাকে নিতে হবে কে কেন কী সুযোগ নিতে চায় 
আমার এতদিনের ভুল সংশোধন করার এই শেষ সুযোগ আমাকে নিতে হবে কে কেন কী সুযোগ নিতে চায়
আমার এতদিনের ভুল সংশোধন করার এই শেষ সুযোগ আমাকে নিতে হবে কে কেন কী সুযোগ নিতে চায় 

উত্তর: ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশী প্রান্তরে যুদ্ধ চলছে, সিরাজ শিবিরে অবস্থান নিয়েছেন। সিরাজের সৈন্যবাহিনী বিশাল, অস্ত্র-গোলাবারুদও প্রচুর, কিন্তু সিরাজ জানেন যে, তার প্রধান সেনাপতি বেঈমানি করবে। এবং কিছু কিছু বিশ্বস্ত সেনাপতি প্রাণপণ লড়বে। সত্যিই তাই— সিরাজের তাঁবুতে একে একে দুঃসংবাদ এসে পৌঁছছে।

 নৌবেসিং আহত, বদ্রে আলী নিহত, মীর মর্দান নিহত, মীরজাফরের নির্দেশে বিশাল সৈন্যবাহিনী মূর্তিবৎ দাঁড়িয়ে ইত্যাদি। সিরাজের বুঝতে বাকি নেই যুদ্ধে তার পরাজয় অনিবার্য । সিরাজের ভরসার সর্বশেষ স্তম্ভ মোহনলাল, সে-ই কেবল যুদ্ধরত । ইংরেজ বাহিনীর সাথে কেবল মোহনলাল পেরে উঠবেন না, তাই সিরাজ সিদ্ধান্ত নেন নিজেই যুদ্ধে যাবেন। 

কেননা, সিরাজ পক্ষের শ্রেষ্ঠ সেনাপতি সিরাজ নিজেই। নবাব আলিবর্দীর সাথে বিভিন্ন যুদ্ধেক্ষেত্রে তার শৈশব কেটেছে। বর্গীর হামলায় তিনি অস্ত্র ধরেছেন । নিশ্চয়ই পলাশীও শ্রেষ্ঠ সেনাপতিকে চায় । দেশের স্বাধীনতার বিপর্যয় মুহূর্তে তার হাত গুটিয়ে বসে থাকা সমীচীন নয়। 

নবাবি গ্রহণের পর বুঝে না বুঝে তিনি অনেক ভুলই করেছেন, আর নয় যুদ্ধক্ষেত্রে নিজে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার এতদিনের ভুলের তিনি সংশোধন করবেন। কিন্তু না, বন্ধুবর মোহনলালের একনিষ্ঠ অনুরোধে সিরাজ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন নি মোহনলালের পরামর্শ মত তিনি রাজধানী মুর্শিদাবাদ রক্ষার্থে পলাশী ত্যাগ করতে বাধ্য হন।a

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ