চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে। ব্যাখ্যা কর।

চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে। ব্যাখ্যা কর।
চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে। ব্যাখ্যা কর।

চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে। ব্যাখ্যা কর।

উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে লঙ্কারাজ রাবণের ভাই বিভীষণ রাম-রাবণের যুদ্ধে ধর্মীয় আদর্শের কথা বলে রাঘবদের (রাম-লক্ষ্মণের) দাসত্ব করে এবং তাদের সহযোগিতা করে। 

রাবণের বোন সূর্পণখাকে লক্ষ্মণ অপমান করে বলে রাবণ তার প্রতিশোধ নিতে লক্ষ্মণের বৌদি সীতাকে হরণ করে আনে। সীতা উদ্ধারে রাম-লক্ষ্মণ লঙ্কায় এসে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। যুদ্ধের প্রথম পর্বে রাবণপুত্র বীরবাহুর মৃত্যু ঘটলে মেঘনাদ যুদ্ধে যাবার প্রস্তুতি নেয় । 

বাবার নির্দেশে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে গিয়ে পূজা করছে। এ সময় হঠাৎ যজ্ঞাগারে লক্ষ্মণকে দেখে মেঘনাদ বিস্মিত হয়। মেঘনাদ প্রথমে বিষয়টি স্বপ্ন মনে করেছে, কিন্তু পরক্ষণেই লক্ষ্মণের সাথে তারই চাচা বিভীষণকে দেখে সে বুঝতে পেরেছে যে, ঘরের শত্রু বিভীষণই লক্ষ্মণকে রাজবাড়ির পথ দেখিয়ে সাথে করে এনেছে। 

তখন সে তার চাচাকে মৃদুস্বরে যথেষ্ট তিক্ত কথা শুনিয়েছে। মেঘনাদ দুঃখে কষ্টে যন্ত্রণায় ও অপমানে তার চাচাকে বলেছে যে— রাবণের মত অনন্য পুরুষ যার ভাই, ইন্দ্রজিৎ তথা মেঘনাদের মত বিজয়ী বীর যার ভাইপো, বিশেষত সম্মানীয় বংশের ছেলে যে বিভীষণ সে কিনা চোরের সাথে বন্ধুত্ব করে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা শুভ করে?

চোরকে কি কেউ কখনও নিজ গৃহের সর্বনাশ করার জন্য ডেকে আনে! হীন নীচ চাঁড়ালকে কেউ কি কখনও রাজবাড়িতে ডেকে এনে সুখশয্যায় বসতে দেয়! বিভীষণ রাক্ষসকুলে জন্মগ্রহণ করেছে, ফলে সে উচ্চবংশীয়- তার উচিত হয় নি নীচকুলের রাম-লক্ষ্মণদের সাথে বন্ধুত্ব করা। মূলত লক্ষ্মণের দৃষ্টিতে বিভীষণের এ কুকর্ম তাদের বংশমর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে । বিভীষণ কুলের মুখে চুনকালি লেপন করে তাদের মর্যাদাকে ধূলিসাৎ করেছে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ