প্রমীলার বামেতর নয়ন নাচিল । — ব্যাখ্যা কর
প্রমীলার বামেতর নয়ন নাচিল — ব্যাখ্যা কর ।
![]() |
| প্রমীলার বামেতর নয়ন নাচিল । — ব্যাখ্যা কর |
উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে যুদ্ধে যাবার আগে বাবার নির্দেশে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা দিতে প্রবেশ করে। এ সময় বিভীষণের সহযোগিতায় লক্ষ্মণ যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে।
নিরস্ত্র মেঘনাদ অস্ত্রাগারে গিয়ে অস্ত্র আনার অনুমতি প্রার্থনা করে, কিন্তু লক্ষ্মণ সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করতে চায় না। তাই কাপুরুষের মত পেছন দিক দিয়ে সে মেঘনাদকে ছুরিকাঘাত করায় মেঘনাদ মৃত্যুবরণ করে।
প্রমীলার ইচ্ছে ছিল স্বামী মেঘনাদের সাথে যজ্ঞাগারে যাবে, কিন্তু শাশুড়ির অনুরোধে সে শাশুড়ির সাথে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। পতিপ্রাণা প্রমীলার স্বামী মেঘনাদ যে মুহূর্তে মারা গেল সে সময় প্রমীলার বাম চোখ হঠাৎ কাঁপতে শুরু করে এবং বেখেয়ালিভাবে হঠাৎ হাতের ঘর্ষণে প্রমীলার সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল মেঘনাদের মা মন্দোদরী হঠাৎ মূর্ছিতা
হয়ে পড়ে এবং মায়ের কোলে নিদ্রিত শিশু হঠাৎ কেঁদে উঠল। যদিও বিষয়টির সাথে কার্যকারণ সম্পর্ক নেই, সম্পর্কটি কাকতালীয়। কিন্তু এটা বাঙালির চিরায়ত বিশ্বাস যে, আপনজনের অনিষ্ট ঘটলে নিকটাত্মীয়রা কোন না কোন সংকেতের মাধ্যমে টের পায় এবং তাদের মন কুকথায় ভরে ওঠে।
এ বিশ্বাসকে কুসংস্কার বললেও এটা বাঙালির মজ্জাগত । বাঙালি কবি মধুসূদন এ বিশ্বাসকে বিশেষ প্রযত্নে প্রমীলার কিছু সাংকেতিক ঘটনার মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন।
.png)