কৃতান্ত আমি যে তোর, দুরন্ত রাবণি । - ব্যাখ্যা কর
কৃতান্ত আমি যে তোর, দুরন্ত রাবণি - ব্যাখ্যা কর।
![]() |
| কৃতান্ত আমি যে তোর, দুরন্ত রাবণি । - ব্যাখ্যা কর |
উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে মেঘনাদ যুদ্ধে যাবে। সে তার পিতার নির্দেশে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে গিয়ে পূজা সম্পন্ন করছে। এমন সময় পেছনে তাকিয়ে দেখে লক্ষ্মণ সেখানে দাঁড়িয়ে। মেঘনাদ অবাক হয় এবং তাকে জিজ্ঞেস করে কীভাবে সে রক্ষঃপুরে প্রবেশ করল ।
প্রবেশ যখন করেছে, তখন আর লক্ষ্মণের আজ নিষ্কৃতি নেই। চারদিকে রাবণ সৈন্য পাহারারত, আজ লক্ষ্মণ আর প্রাণ নিয়ে ফিরে যেতে পারবে না। তখন লক্ষ্মণ মেঘনাদের উদ্দেশে বলেছে যে, সে মেঘনাদের যম হয়ে আজ এসেছে।
মাটি ফুঁড়ে সাপ যেমন আয়ুহীনকে দংশন করে, তেমনি লক্ষ্মণ এসেছে মেঘনাদকে বধ করতে। দেবতার শক্তিতে মেঘনাদ শক্তিমত্ত হয়েও সে দেবতাদেরকেই অবজ্ঞা করে। আজ লক্ষ্মণও দেবাদেশে মেঘনাদকে বধ করার জন্য এসেছে। লক্ষ্মণ মেঘনাদকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার আহ্বান জানাচ্ছে। দেবতানুগ্রহে লক্ষ্মণের স্পর্ধা এখানে ব্যক্ত হয়েছে।

ভাই